কলেজ ছাত্র ফয়সাল হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
- কক্সবাজার প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২২, ০৩:৪৪ PM , আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২২, ০৩:৪৪ PM

কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এলএলিব'র ৫ম সেমিষ্টারের ছাত্র জিয়া উদ্দিন ফয়সাল হত্যা মামলার ৪ আসামীকে ফাসি এবং ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। তাছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। ইয়াবা কারবারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে খুন হওয়ার ৫ বছর পর বুধবার (৩১ আগষ্ট) সকাল ১১ টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল ওই রায় ঘোষনা করেন।
ফাসির দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নুরুচ্ছফার ছেলে রেজাউল করিম প্রকাশ বুইল্যানির ছেলে (২৫), মৃত আমান উল্লাহ’র নুরুল হক (২৮), মৃত অছিউর রহমানের ছেলে রমজান (৩০) ও মো. ইসহাকের ছেলে রুবেল (২৩)। এরা সকলেই কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের পূর্ব মাছুয়াখালি গ্রামের বাসিন্দা। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুইজন হলেন, আবছারের ছেলে শাহিন (২৫) ও দুদু মিয়ার ছেলে মনি আলম (২৪)। এরাও পূর্ব মাছুয়াখালি গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ, আদালত ও মামলার বাদীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ইয়াবা বিক্রিতে বাঁধা দেওয়ায় ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার পিএমখালি ইউনিয়নের পূর্ব মাছুয়াখালি জামে মসজিদের সামনে জিয়া উদ্দিন ফয়সালকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে একদল মাদক কারবারী। ওই ঘটনার পরদিন ১৭ এপ্রিল ৯ জন অভিযুক্ত করে কক্সবাজার সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা মো. নুরুল আনোয়ার । তবে তদন্ত কর্মকর্তা এজাহার নামীয় ৩ আসামীকে অব্যাহতি দিয়ে ২০১৭ সালের ৪ জুলাই ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
এবিষয়ে সরকারি কৌশুলী ফরিদুল আলম বলেন, সেই ৬ জনের বিরুদ্ধেই আদালত চার্জ গঠন করে। ১২ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করে। সাক্ষ্য প্রমানে আদালতের কাছে আসামীরা দোষী প্রমানিত হয়েছে । একারণেই এ মামলায় সর্ব্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করেছে আদালত। তিনি আরো বলেন, রায়ে বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষ খুশি। তবে বাদী মো. নুরুল আনোয়ার বলেন, রায় কার্যকর না হওয়া সন্তুৃষ্ট হতে পারছি না।
আদালতের পর্যাবেক্ষণ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস. এম আব্বাস উদ্দিন বলেন, ফয়সাল ইয়াবা কারবারীরে বিরুদ্ধে কথা বলতে খুন হয়। একটি প্রতিবাদী কন্ঠকে রুদ্ধ করে দিতেই মাদক কারবারীরা এক্যবদ্ধ হয়ে ওই ঘটনা ঘটায় । এমন আসামীদের সর্ব্বোচ্চ নিশ্চিত করার মধ্যে দিয়েই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আদালতের মনে হয়েছে।