গলাচিপায় গায়ে আগুন দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা চেষ্টা

সারাদেশ
গলাচিপায় গায়ে আগুন দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা চেষ্টা  © টিবিএম ফটো

পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌর এলাকায় ১নং ওয়ার্ডের ফাহিমা (৩২) নামের এক গৃহবধূ নিজে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ফাহিমা'র শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাকে বাঁচাতে গিয়ে স্বামী আল-আমিন (৩৫) ও দগ্ধ হয়েছে। তবে কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি। ফাহিমা গলাচিপা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে স্বামী মো. আল আমিনের সঙ্গে থাকতেন।

রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় ফাহিমা কে স্বজনরা গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ সময় তার অবস্থা আশংকা জনক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ঢাকায় রেফার করেন চিকিৎসক। 

গৃহবধূর স্বামীর ছোট ভাই কাইয়ুম জানান, তিনি তার বাসায় ছিলেন এমন সময় বড় ভাই আল আমিন ফোন দিয়ে বলেন তোর ভাবির গায়ে আগুন লাগছে। খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে ছুটে আসেন। আগুন কিভাবে লাগলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, জানেন না, ভাতিজার কাছে শুনেছেন তার আম্মু ফাহিমা মোম বাতি দিয়ে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়েছে। এ সময় ভাতিজা ডাক চিৎকার দিলে বাথরুম থেকে আল আমিন ছুটে আসে এবং ফাহিমা কে বাঁচাতে তাকে নিয়ে ঘরের পাশের একটি ডোবার পানিতে ঝাপ দেন। এসময় আল আমিন এর শরীর ও হাতের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ হয়।

গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. উম্মে জোয়ায়রিয়া লিনজা বলেন, আগুনে গৃহবধূর শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে শুনেছি গৃহবধূ নিজে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়েছে।

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, কি কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।