৯ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার : ম্যাজিস্ট্রেটকে আইনি নোটিশ
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৫১ AM , আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৫৪ AM

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নয় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করায় সহকারী কমিশনার (ম্যাজিস্ট্রেট) মো. ইসমাইল রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে ৯ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশকারী তিন আইনজীবী হলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান ও নাইম সরদার।
শিক্ষাসচিব, জনপ্রশাসনসচিব, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. ইসমাইল রহমান, খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব নুসরাত জাহানকে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশপ্রাপ্তির ১২ ঘণ্টার মধ্যে এসব ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। নোটিশকারী আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৯ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল রহমান যথাযথ কারণ ছাড়াই এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেন। ফলে ওই ৯ শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারে নেমে এসেছে গভীর হতাশা। তাদের ভবিষ্যৎ হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত।
‘এ বিষয়ে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলে তিনি বহিষ্কারাদেশের কোনো পরিবর্তন করবেন না বলে জানান।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এভাবে বহিষ্কার করায় শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবার যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তেমনি ঘটনাটি দেশের প্রত্যেক বিবেকবান ব্যক্তিকে আলোড়িত করেছে। ঘটনা বিশ্লেষণে প্রতীয়মান হয় যে, সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিপীড়নমূলক, বেআইনি এবং অযাচিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ৯ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছেন, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
নোটিশে ৯ জন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহারপূর্বক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য সহকারী কমিশনার মো. ইসমাইল রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।