এবার ট্রেন ভ্রমণের পাওনা টাকা পরিশোধ করলেন শিক্ষক
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:৩১ PM , আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:৩১ PM

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এমদাদুল হকের পর এবার রেলের পুরাতন ভাড়া পরিশোধ করলেন মাওলানা আবুল হাসান। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী এবং একই সঙ্গে স্থানীয় একটি মাদরাসায় শিক্ষকতাও করছেন।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী কবির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে আবুল হাসানের হিসেব অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তার নিকট ১০১৫ টাকার স্ট্যান্ডিং টিকেট কেটে দেন দায়িত্বরত বুকিং সহকারী দিদার মোল্লা। এর আগে গত মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন টিকেট কাউন্টারে এসে আগে বিনা টিকিটে ভ্রমণের ভাড়া পরিশোধ করেন নবীনগর উপজেলার সাবেক দুদকের কর্মচারী বয়োজ্যেষ্ঠ এমদাদুল হক (৬৫)। তখন তিনি ২ হাজার ৫৩০ টাকার স্ট্যান্ডিং টিকেট কেটে রেলের পাওনা শোধ করেছিলেন। এমদাদুল হককে দেখে উৎসাহিত হয়ে রেলের পাওনা পরিশোধে এগিয়ে এসেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের মেরকুটা গ্রামের মাওলানা মোহাম্মদ আবুল হাসান (৫০)।
মাওলানা আবুল হাসান বলেন, এমদাদুল হক আমার পূর্বপরিচিত। তার রেলের পাওনা পরিশোধের বিষয়টি আমাকে আলোড়িত ও উৎসাহিত করে। আমি বিনা টিকিটে তেমন একটা ভ্রমণ করিনি। তারপরও আমার হিসেবে রেল আমার কাছে প্রায় ১ হাজার টাকা পাওনা থাকার কথা।
তিনি আরও বলেন, আমিও সুযোগ খুঁজছিলাম, কীভাবে সেটি পরিশোধ করা যায়। তখন এমদাদুল হকের সঙ্গে পরামর্শ করলে তিনি নিজেই আমাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে কাউন্টারে নিয়ে আসেন। কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে কথা বলে ১০১৫ টাকার আসনবিহীন টিকেট কেটে দিলে আমি তা পরিশোধ করি। এমন ঘটনাগুলো আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণার। এতে টিকেট কেটে ট্রেনে ভ্রমণে সবাই যেমন উৎসাহিত হবেন। তেমনি যারা আগে বিনা টিকিটে ভ্রমণ করেছিলেন, তাদের অনেকেই হয়তো সামাজিকতার দায় থেকেই রেলের পাওনা পরিশোধে এগিয়ে আসবেন।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী কবির আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার সকালে এমদাদ কল দিয়ে বলেছিলেন, উনার এক বন্ধু বকেয়া ভাড়া পরিশোধ করতে চান। পরে তিনি বিকেলে আসবেন বলে জানান। যেহেতু আমাদের বকেয়া ভাড়া জমা নেওয়ার সুযোগ নেই, তাই বিকেলে কাউন্টারে এসে ১০১৫ টাকার স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে বকেয়া হিসাবে পরিশোধ করেন।