বাল্যবিয়ে বন্ধ করে লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন ইউএনও

বিয়ে
  © সংগৃৃহীত

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে লেখাপড়ার যাবতীয় দায়িত্ব নিলেন ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন।

সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরী ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের কাকিনা গ্রামের শহিদুল-মমতা দম্পতির মেয়ে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।

স্থানীয় ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, খবর পেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন এ বাল্যবিয়ের আয়োজন বন্ধ করেন। পরে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে একান্তে কথা বলেন। তখন তিনি জানতে পারেন, জোর করে বিয়ে দিচ্ছেন তার বাবা-মা। পরে নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ভুল স্বীকার করে ওই স্কুলছাত্রীর ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেয়ার কথা দিয়ে অঙ্গীকার নামায় সই করেন বাবা শহিদুল ইসলাম ও মা মমতা বেগম।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেনে বলেন, আমি মেয়েটার সঙ্গে কথা বলে দেখলাম, তার পড়ালেখায় আগ্রহ আছে। এছাড়া বিয়েতে তার মত ছিল না। আমি তার বাবা-মাকে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়েছি। তার বাবা-মা আমাকে কথা দিয়েছে ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না। যেহেতু মেয়েটার পড়াশোনায় আগ্রহ আছে তার বাবা-মা ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দিলে তার পড়াশোনার সব দায়িত্ব আমি নিয়েছি।