কালিপূজায় এপার-ওপার বাংলার মানুষের মিলনমেলা

সারাদেশ
এপার-ওপার বাংলার মানুষের মিলনমেলা  © সংগৃহীত

দীপাবলী ও কালিপূজা উপলক্ষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যকার কাঁটাতারের বেড়া ঘেঁষে দুই দেশের মানুষের মিলন মেলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের মেচেরঘাট সীমান্তে মিলন মেলা হয়। দুই বাংলার লোকজনের দেখার করার সুযোগ দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

দুই দেশের মানুষের দেখা করার মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কাঁটাতারের বেড়া। তবুও যেন হাসি-কান্নার আনন্দাশ্রুতে মহামিলন।

ভাতিজার সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে দীপালী রানী জানান, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় তার খালা-খালু ভারতে চলে যায়। কয়েক বছর আগে একবার খালাত বোনের সঙ্গে দেখা হয় দীপালী রানীর। কিন্তু গত বছর তার সেই খালাত বোন মারা গেলেও যেতে পারেননি। আজ তার ভাগিনাদের কাছে পেয়েও ছুঁয়ে দেখতে পারেননি।

শুধু দীপালী রানী নয়, তার মতো শত শত মানুষ সীমান্তে ছুটে আসে রক্তের টানে। কাছের মানুষের দেখতে পেয়ে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে অনেকে প্রাণের টানে ছুটে এলেও আত্মীয়দের দেখা না পেয়ে মন খারাপ করে ফিরে গেছেন।

মিলন মেলায় আসা সফিকুল ইসলাম, রবীন্দ্র নাথ বলেন, ‘বছরে একটা দিন কালিপূজা উপলক্ষে আপনজনের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাই। সেই প্রথা যেন অব্যাহত থাকে। আইনের জটিলতা দিয়ে যেন এ মিলনমেলা বন্ধ না হয়।’ 

তারা আরও বলেন, বছরে এমন মিলনমেলা মানবিক পৃথিবী তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।

পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রবিউল হক মিরন বলেন, এ সীমান্তে প্রতি বছর কালিপূজা উপলক্ষে দুই বাংলার মানুষের মিলন মেলা বসে। এতে অনেকে তাদের পুরাতন আত্মীয়-স্বজনের দেখা করতে পেরে খুশি মনে বাড়ি ফেরেন। এটা অব্যাহত থাকা প্রয়োজন।