বাম পা দিয়ে লিখে আলিম পরীক্ষা দিচ্ছেন হাবিবুর রহমান

জন্ম থেকেই  শারীরিক প্রতিবন্ধী হাবিবুর রহমান। দুই হাত নেই তার। এতে থেমে যায়নি তার পথচলা। শারীরিক প্রতিবন্ধী এই কিশোর সচল পায়ের ওপরই রেখেছেন অটুট ভরসা। সেই পা দিয়ে লিখেই এবার আলিম পরীক্ষা দিচ্ছেন অদম্য এই কিশোর।

হাবিবুর রহমান (১৯) রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হেমায়েত খালী গ্রামের দরিদ্র কৃষক মো. আ.সামাদের ছেলে। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয় তিনি। হাবিবুর জন্মগতভাবেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। এবার তিনি পাংশা পুঁইজোর ফাজিল মাদরাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাবিবুর তার গ্রামের হেমায়েত খালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৩ সালে পিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। পরে ২০১৫ সালে পুঁইজোর সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদরাসা থেকে জেএসসি পাস করেন। এরপর ২০১৮ সালে দাখিল পাস করেন। এবার তিনি পাংশা সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদরাসা (কেন্দ্রে) আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাবিবুর তার গ্রামের হেমায়েত খালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৩ সালে পিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। পরে ২০১৫ সালে পুঁইজোর সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদরাসা থেকে জেএসসি পাস করেন। এরপর ২০১৮ সালে দাখিল পাস করেন। এবার তিনি পাংশা সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদরাসা (কেন্দ্রে) আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, আমি জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। দরিদ্র পরিবারের সন্তান। অনেক কষ্ট করে আজ এই পর্যন্ত এসেছি। হাত না থাকায় পা দিয়ে লিখেই পিএসসি, জেএসসি ও দাখিল পাস করেছি। এ বছর আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। আমার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেছে। তারপরও থেমে যায়নি। পড়ালেখাটা চালিয়ে যেতে চাই।

হাবিবুর রহমানের বড় দুলাভাই আনোয়ার হোসেন বলেন, হাবিব অত্যন্ত মেধাবী এবং ভালো ছাত্র। তার অনেক আত্মবিশ্বাস রয়েছে। সে ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে চায়।