শিশু আয়াতকে হত্যার পর ৬ টুকরা করে ভাড়াটিয়া

শিশু আয়াতকে হত্যার পর ৬ টুকরা করে ভাড়াটিয়া
শিশু আয়াতকে হত্যার পর ৬ টুকরা করে ভাড়াটিয়া   © ফাইল ফটো

চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ পাঁচ বছর বয়সী আয়াতকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ছয় টুকরা করে নদীতে ফেলে দেয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত আবির আলী নামের এক যুবককে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা। আবির আয়াতের দাদা বাড়ির সাবেক ভাড়াটিয়া। তিনি নগরের আকমল আলী সড়কে মায়ের সঙ্গে থাকেন।

১৯ বছর বয়সী এ যুবক তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। নাঈমা সুলতানা বলেন, ‘মুক্তিপণ দাবির উদ্দেশ্যে তাকে (আয়াত) অপহরণ করে তাদের সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলী। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাকে গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ১১টার দিকে আকমল আলী সড়ক থেকে আটক করা হয়। সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আবির জানিয়েছে, মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন বিকেলে আয়াতকে সে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সে। পরে মরদেহ আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরা করে।

‘খণ্ডিত মরদেহ দুটি ব্যাগে নিয়ে বেড়িবাঁধ এলাকায় নদীতে ফেলে দেয়। সেসব আমরা উদ্ধারের চেষ্টা করছি, তবে মরদেহ টুকরা করার কাজে ব্যবহার করা বঁটি ও অ্যান্টি কাটার উদ্ধার করা হয়েছে।’

এর আগে গত ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত। পরদিন এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা।


মন্তব্য