আরও কমলো মূল্যস্ফীতি

মূল্যস্ফীতি
  © সংগৃহীত

চলতি বছরের জানুয়ারিতেও দেশে মূল্যস্ফীতি কমেছে। গত মাসে যার হার ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এ নিয়ে টানা ৫ মাস কমলো মূল্যস্ফীতি।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এই তথ্য জানিয়েছে।

বিবিএস জানায়, গত বছরের ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। সেই হিসাবে জানুয়ারিতে কমেছে দশমিক ১৪ শতাংশ পয়েন্ট। 

২০২২ সালের আগস্টে দেশে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি হয় ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। এক দশকের মধ্যে যা ছিল সর্বোচ্চ। অক্টোবরে তা কিছুটা কমে হয় ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ।

এরপরের মাসগুলোতে তা ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। তবে জানুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে যা ছিল ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ।


বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, জুন মাস শেষে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা গত নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মঙ্গলবার মূল্যস্ফীতির এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে পরিসংখ্যান ব্যুরো।

বিশেষ করে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশে আর খাদ্য বর্হিভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। গ্রামে এই হার শহরের তুলনায় বেশি।

যদিও অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, দেশে প্রকৃত মূল্যস্ফীতি আরও বেশি।

মূল্যস্ফীতি কী?

অর্থনীতিবিদরা আগের বছর বা মাসের সঙ্গে অথবা কোন নির্দিষ্ট সময়কালের সঙ্গে বর্তমানের তুলনা করে খাদ্য, কাপড়, পোশাক, বাড়ি, সেবা ইত্যাদি বিভিন্ন উপাদানের মূল্য বৃদ্ধির যে পার্থক্য যাচাই করেন সেটাই মূল্যস্ফীতি।

অন্যভাবে বলা যায়, মূল্যস্ফীতি দিয়ে আমরা যেটা বুঝি তা হলো, কোন একটা নির্দিষ্ট সময় থেকে পরবর্তী আরেকটি সময়ে দাম কেমন বেড়েছে? যেমন ধরুন একটা জিনিসের দাম ২০২০ সালে ছিল ৫ টাকা, পরবর্তী বছর তা হয়েছে ৬ টাকা। সব জিনিসের দাম তো একইরকমভাবে বাড়ে না। বিভিন্ন জিনিসের মূল্য বৃদ্ধির তথ্য একটি পদ্ধতির মাধ্যমে গড় করে মূল্যস্ফীতি বের করা হয়।

মূল্যস্ফীতি সাধারণত খাদ্য মূল্যস্ফীতি এবং খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি- এই দুই ভাবে ভাগ করা হয়।

কয়েকভাবে মূল্যস্ফীতি বের করা হয়। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, ২০২১ সালের ১৫ই জুলাই মূল্য কী ছিল আর এই বছরের ১৫ই জুলাই কী মূল্য আছে - এই দুইয়ের শতকরা ব্যবধান।

আরেকটি হচ্ছে, এক বছরে জিনিসপত্রের গড় মূল্য আর পরের বছরের ১২ মাসে গড় মূল্যের তুলনা করেও মূল্যস্ফীতি বের করা হয়।