১১ মার্চ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’

সামিট
বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩  © সংগৃহীত

বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দেশে আগামী ১১ মার্চ থেকেতিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের আয়োজন করতে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত এই সামিটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এফবিসিসিআই প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদ্‌যাপন উপলক্ষে এই সামিটের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান সংগঠনের সভাপতি জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে বৈশ্বিক ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, উদ্ভাবক, নীতিনির্ধারক, বাজার বিশ্লেষক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কাছে তুলে ধরতে এই আয়োজন ভূমিকা রাখবে।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে বিশ্বের ১২ থেকে ১৫টি দেশের মন্ত্রীরা অংশ নেবেন। কয়েকটি বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক এবং ইইউর ট্রেড কমিশনারকেও আনার চেষ্টা চলছে। এ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় কোম্পানির প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’

দেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা, বাধা এবং উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করতে ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, বিশ্লেষক এবং নীতিনির্ধারকদের নিয়ে তিনটি প্লেনারি সেশন, ১৩টি প্যারালাল সেশন, উন্মুক্ত আলোচনা, ব্যবসায়ী বৈঠক (বিটুবি মিটিং) ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।

মো. জসিম উদ্দিন বলেন, টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ্যে সরকার সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণে অবকাঠামো উন্নয়ন করছে। সুতরাং, এখনই সময় বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করার। এখনই সময় আমাদের ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির পথে যাত্রাকে ত্বরান্বিত করা।

এফবিসিসিআই সূত্রে জানা গেছে, দেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা, বাধা এবং উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করতে ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, বিশ্লেষক এবং নীতি-নির্ধারকদের নিয়ে সামিটে তিনটি প্ল্যানারি সেশন, ১৩টি প্যারালাল সেশন, উন্মুক্ত আলোচনা, বিটুবি মিটিং, নেটওয়ার্কিং সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এসব সেশনের সুপারিশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’-এর পাশাপাশি আয়োজন করা হবে ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ এক্সপো’র। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলো এ প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হবে। তার মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাবার, চামড়া, সিরামিক ও পাটসহ বিভিন্ন সেক্টর। এ ছাড়াও দেশের অর্থনীতিতে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিক ব্যক্তিকে বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে। সম্মাননার মনোনয়নের জন্য অর্থনীতিবিদ, সাংবাদিক এবং ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে বিশেষ জুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।

বিজনেস সামিট উপলক্ষে দেশের ব্যবসা পরিবেশ, বিনিয়োগের সুযোগ এবং টেকসই উন্নয়নের ওপর প্রচারণা চালাবে মার্কিন কেব্‌ল টিভি চ্যানেল সিএনএন। সামিটে সিএনএনের বিজনেস এডিটর-অ্যাট-লার্জ রিচার্ড কোয়েস্টের সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সহযোগিতায় এই সামিট অনুষ্ঠিত হবে। আরটিভি


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ