ভারত, ভিয়েতনাম ও মিয়ানমার থেকে চাল কিনছে বাংলাদেশ

চাল
  © ফাইল ছবি

চলতি সপ্তাহে ভারতের চালের রপ্তানি মূল্য আরও কমেছে। দেশটি থেকে মূল আমদানিকারক দেশগুলোর চাহিদা কমে  যাওয়ায় খাদ্যপণ্যটির দরপতন ঘটেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। 

এ সপ্তাহে ভারতের ৫ শতাংশ ভাঙা প্রতি টন আধা সিদ্ধ চালের দাম স্থির হয়েছে ৩৮৫ থেকে ৩৯০ ডলারে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৯০ থেকে ৩৯৫ ডলারে। 

গত ফেব্রুয়ারিতে টনপ্রতি ভারতীয় চালের দর ওঠে ৪০০ ডলারে। ২০২১ সালের মার্চের পর যা সর্বোচ্চ। সেই জায়গা থেকে খাদ্যশস্যটির মূল্য হ্রাস পাচ্ছে।

ভারতের শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সত্যম বালাজির নির্বাহী পরিচালক হিমাংশু আগারওয়াল বলেন, রপ্তানি মূল্যের সাম্প্রতিক উত্থান এবং পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি মালবাহী জাহাজের সংখ্যা কমিয়েছে। এতে চালের রপ্তানি চাহিদা নিম্নমুখী হয়েছে।

তবে ভাঙা চাল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা নেই ভারতের। এছাড়া সাদা চাল বিদেশে চালানে আরোপিত ২০ শতাংশ কর তুলে নেয়ার ইচ্ছা নেই দেশটির। গত মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের দুই সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

ভিয়েতনামের ৫ শতাংশ প্রতি টন ভাঙা চালের দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ৪৪০ থেকে ৪৪৫ ডলারে। গত সপ্তাহেও তা ছিল।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভিয়েতনামের মেকং ডেল্টা প্রদেশে শীত-বসন্তকালীন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে রপ্তানি মূল্যে প্রভাব পড়েনি। 

থাইল্যান্ডের ৫ শতাংশ ভাঙা চালের টনপ্রতি দর দাঁড়িয়েছে ৪৬০ ডলার। আগের সপ্তাহে তা ছিল ৪৫০ থেকে ৪৬০ ডলার। 

ব্যাংককভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, দাম একই পর্যায়ে আছে। কারণ সরবরাহ ও চাহিদা কম ছিল। নতুন ফসলের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

বাংলাদেশে বর্তমানে চালের দাম চড়া রয়েছে। মূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা সত্ত্বেও প্রধান খাদ্যশস্যটির দর ঊর্ধ্বমুখী আছে।

এই অবস্থায় বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে বেসরকারি ব্যবসায়ীদের চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। 

এছাড়া ভিয়েতনাম, ভারত ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলো থেকেও খাদ্যপণ্যটি কিনছে বাংলাদেশ সরকার।
সূত্র: নিউজ২৪