বিশ্বজুড়ে ব্যাংকের শেয়ারে ধস

ক্রেডিট সুইস অধিগ্রহণ করেছে সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইউবিএস। এতে ব্যাংকিং খাত নিয়ে আরও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারী। তারা মনে করছেন, তল তল এ সেক্টরের অবস্থা ব্যাপক খারাপ হয়ে গেছে। ফলে বুঝেশুনে বিনিয়োগ করছেন ব্যবসায়ীরা। তাতে সোমবার (২০ মার্চ) বিশ্বজুড়ে ব্যাংকের শেয়ারে ধস নেমেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউবিএসের শেয়ার পতন হয়েছে ১৬ শতাংশ। ২০০৮ সালের পর যা সর্বোচ্চ। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের সূচক হ্রাস পেয়েছে ৬২ শতাংশেরও বেশি। ইউরোপিয়ান ব্যাংকের নিম্নমুখী হয়েছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। 

জার্মানির ব্যাংকিং জায়ান্ট ডয়চে ব্যাংক পূঁজি হারিয়েছে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। দেশটির কমার্জ ব্যাংকের শেয়ার কমেছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। ফ্রান্সের বিএনপি পরিবাসের সূচক পড়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংকের শেয়ার পতন হয়েছে ২২ শতাংশ। এছাড়া বন্ডের বাজার মূল্য কমেছে। সার্বিক শেয়ারবাজারেও মন্দা বিরাজ করছে।

জোন্স ট্রেডিংয়ের প্রধান বাজার কৌশলবিদ মাইক ও রৌরকে বলেন, এক সপ্তাহ পার হওয়ার পরও ব্যাংকিং সেক্টরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এটা এখন পরিষ্কার। এসময়ে কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের দুই পদক্ষেপ নিয়েছে। তবু সমস্যাটি দূর হচ্ছে না। বরং বিশ্বব্যাপী এ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

ধুঁকতে থাকা ব্যাংকগুলোকে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড), ইসিবিসহ বিশ্বের বড় বড় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। তাতে আরও ভয় পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তাদের সুরে সুর মিলিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনে বৈশ্বিক ব্যাংকিং নিয়ে আরও খারাপ খবর আসতে পারে।   

গত সপ্তাহে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংক। সেই রেশ না কাটতেই ক্রেডিট সুইসে ধস নামার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত সেটি কিনে নিয়েছে ইউবিএস। 

এছাড়া অর্থ সংকটে থাকা ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংকে ৩০ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) এবং অন্যান্য ব্যাংক। সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংকও সাহায্য পেয়েছে। তবু ব্যবসায়ীদের আস্থা ফিরছে না। চ্যানেল ২৪