ব্রয়লারের দাম নিয়ে কানামাছি খেলা, পোষাচ্ছে না খুচরা ব্যবসায়ীদের

মুরগি
  © প্রতীকী ছবি

খামার পর্যায়ে গত শুক্রবার থেকে ১৯৫ টাকায় ব্রয়লার মুরগি সরবরাহ শুরু করেছেন চার শীর্ষ কোম্পানি ও প্রান্তিক খামারিরা। নির্ধারিত দামে মুরগি গতকাল শনিবার পাইকারি বাজার হয়ে খুচরা ব্যবসায়ীদের দোকানে দোকানে পৌঁছেছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, সব খরচসহ খুচরা ব্যবসায়ীদের দোকানে ব্রয়লার মুরগি যাচ্ছে ২১০ টাকায়। ফলে খুচরা পর্যায়ে ২৩০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই দামেও মুরগি পাননি ক্রেতারা। ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম রাখা হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৫৫ টাকা। এ অবস্থায় মুরগির বাড়তি দাম নিয়ে চলছে কানামাছি খেলা। খামারি ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা দোষ চাপাচ্ছেন খুচরা ব্যবসায়ীদের ওপর। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, এর কমে তাদের পোষাচ্ছে না।

এদিকে, বাজার তদারকি কমিটি বা ভোক্তা অধিদপ্তরের আসার খবরে দোকানিরা মূল্য তালিকায় ২৪৫ টাকা উল্লেখ করলেও অভিযান শেষে সেটি মুছে ফেলা হচ্ছে। আর ভোক্তা অধিদপ্তর বলছে, খুচরা ব্যবসায়ীরা আগের কেনা ও পাইকারিতে দাম বেশির যে দাবি করছে, তা সঠিক নয়। খামার থেকে শুরু করে পাইকার পর্যায়ে দাম কমলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম কমাচ্ছে না। এ জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, শনিবার ঢাকায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ৭টি টিম মোট ২১টি বাজার ও স্থানে তদারকি চালায়। এ সম্পর্কে ভোক্তার পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, গত রাতে (শুক্রবার) কাপ্তান বাজার, তেজগাঁওসহ অন্যান্য পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির পাইকারি দাম ছিল সর্বোচ্চ ২১০ টাকা। ভোক্তা অধিদপ্তর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ঢাকাসহ সারা দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে। সরবরাহ ব্যবস্থায় কোথাও ঘাটতি নেই।  খুচরা ব্যবসায়ীদের দোকানে পৌঁছানো খরচসহ পাইকারি দাম ২১০ টাকা। কিন্তু ব্যবসায়ীরা ভোক্তা পর্যায়ে সেই মুরগি বিক্রি করছে ২৫০ থেকে ২৫৫ টাকায়। এটি যৌক্তিক নয়।

তিনি বলেন, পাইকারি বাজার দরের সঙ্গে খুচরা বাজারের পার্থক্য ১০ থেকে ২০ টাকা হতে পারে, এর বেশি নয়। আর অতিরিক্ত দামে বিক্রি করায় কয়েকটি দোকান মালিক ও পাইকারি ব্যবসায়ীকে ভোক্তা অধিদপ্তরে তলব করা হয়েছে। অন্যদের সতর্ক করা হয়েছে।

খুচরা পর্যায়ে দাম নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, খুচরা ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে দাম ঠিক করা হয়নি। কিন্তু তারা এখন সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে বেশি লাভ করছে। এটিকে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম হওয়া উচিত ২৩০ টাকা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিকে প্রান্তিক খামারিরা জানান, কক্সবাজার ও রংপুর ছাড়া সারা দেশে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ ঠিক রয়েছে। সরকার নির্ধারিত ১৯৫ টাকায় তারা ব্রয়লার বিক্রি করেছেন।