গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম আরও বেড়েছে

পেঁয়াজ
  © বিবিসি

রাজধানীর খুচরা ও পাইকারি—উভয় বাজারেই দেশি পেঁয়াজের দাম আরও বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে গতকাল বৃহস্পতিবার খুচরায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২ থেকে ১৫ টাকা এবং পাইকারিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়। ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকায় এর প্রভাব পড়ছে পেঁয়াজের বাজারে।  

দু–তিন দিন আগের কেনা প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রেতারা ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। বুধবারের কেনা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগেও এ দাম ছিল ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা। পাইকারিতে এক পাল্লা (পাঁচ কেজি) ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, গতকাল দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বুধবার ছিল ৬৩ থেকে ৬৫ টাকা। আর এক সপ্তাহ আগে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তাঁর দাবি, সরকার দ্রুত পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিলে দাম কেজিতে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ টাকা কমে যাবে।

ঢাকার হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে মূলত ভারতীয় পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বাজারে এখন ভারতীয় পেঁয়াজ নেই। তাই দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বলে জানান এক ব্যবসায়ী।

দেশের স্থানীয় হাটবাজারেই প্রতি মণ (৪০ কেজি) পেঁয়াজ এখন ২ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতারা জানান, এ সপ্তাহে তুলনামূলকভাবে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে আলুর দামে কোনো পরিবর্তন নেই। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। তবে পাইকারিতে এক পাল্লা আলু বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়।

এদিকে গতকাল ১০০ গ্রাম ধনেপাতা ৩০ টাকায় (এক কেজি ৩০০ টাকা) বিক্রি করা হয়। সপ্তাহ আগে ধনেপাতা ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল। কাঁচা মরিচের দামও কেজিতে ১৫-২০ টাকা কমে ১২৫-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঢ্যাঁড়স, করলা, বরবটি, কাঁকরোল, পটোল, চিচিঙ্গা ও ঝিঙার মতো সবজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে।


মন্তব্য