আমদানির খবরে পেঁয়াজের দামে ধস 

পেঁয়াজ
  © ফাইল ছবি

ভারত থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়ার খবরে দেশের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্রুত কমছে। ঢাকার শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজার এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে আজ সোমবার খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশি পেঁয়াজের কেজিপ্রতি দর ২০-২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় গতকাল রোববার জানায়, আজ থেকে পেঁয়াজ আমদানি অনুমতি দেওয়া শুরু করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ শাখা। এরপরই পাইকারি বাজারে দাম কমতে শুরু করে।

ভারতীয় পেঁয়াজ এলে দাম আরও অনেকটা কমে যাবে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ, ভারতে পেঁয়াজের দাম অনেক কম।

কারওয়ান বাজার ঘুরে দেশি পেঁয়াজই দেখা গেল। বাছাই করা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছিলেন জাকির  নামের এক বিক্রেতা। তিনি বলেন, সকালে দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমেছে। কয়েকদিনের মধ্যে কেজি প্রতি আরও ১০-১৫ টাকা কমতে পারে বলেও তিনি জানিয়েছেন। ভারতের পেঁয়াজ নাকি আসছে। এই খবরে বাজার পড়তি।

এদিকে  চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে আজ পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় মানভেদে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। আগের দিন তা ছিল ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।

মেসার্স আলীম ট্রেডার্সের মাহফুজুল আলম জানান, গতকাল ৮৭-৯০ টাকা বিক্রি করছি। এখন ৭০ টাকাও বিক্রি করতে পারছি না। ভারতের পেঁয়াজ ঢুকলে দাম আরও কমবে আশঙ্কায় পেঁয়াজ কিনছে না। আজ খাতুনগঞ্জে ২০০ বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কিনা সন্দেহ।

বিসমিল্লাহ বাণিজ্যালয়ের অভি জানান, গতকাল ৮৭-৮৮ টাকা বিক্রি করেছি। আজ ৭০ টাকায়ও বিক্রি করতে পারছি না। আমরা কেজিপ্রতি ৭০ পয়সা পাই। দাম বাড়লে বা কমলে আমাদের কমিশনে হেরফের হয় না।

চীনা রসুন ১২৫, ইন্ডিয়ান রসুন ৮৫, দেশি রসুন ১১৫ টাকা, কেরালা আদা ১৮০ টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানান তিনি। এছাড়া কোনো কোনো আড়তে মানভেদে পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকাও বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।


মন্তব্য