২০২৪ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় ৭০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী
  © ফাইল ছবি

২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় আনুমানিক ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

সোমবার (১২ জুন) জাতীয় সংসদে দেওয়া এক বক্তব্যে মন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। খবর বাসসের।

সরকারি দলের সদস্য মোরশেদ আলমের টেবিলে উপস্থাপিত তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, রপ্তানি আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার গত ১৪ বছরে যে সকল পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এগুলো হলো- রপ্তানি বাণিজ্যে গতিশীলতা আনায়ণ ও প্রতিযোগীতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশের স্থান সুদৃঢ়করণের লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে রপ্তানি নীতি ২০০৯-২০১২, ২০১২-২০১৫, ২০১৫-২০১৮, ২০১৮-২০২১ এবং বর্তমান রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ প্রনয়ণ করা হয়েছে। এর আলোকে রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সার্কভুক্ত অঞ্চলের মধ্যে অবাধ বাণিজ্য ব্যবস্থা সাফটা চুক্তির সুযোগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ভারতে সাথে কম্প্রেহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশীপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) সম্পাদনের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:- গুদামে নষ্ট হচ্ছে পেঁয়াজ, ৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, সম্প্রতি ভুটানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পিটিএ সম্পাদন করা হয়েছে। নেপাল ও শ্রীলংকার সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক পিটিএ সম্পাদনের নেগোসিয়েশন সম্পন্ন হয়েছে এবং শিগগিরই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। 

তিনি জানান, বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত থিমভিত্তিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের পণ্যের বাজার অন্বেষণ ও ইমেজ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে; রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণ ও প্রতিযোগী সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্ভাবনাময় রপ্তানিখাতকে বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করে বিভিন্ন ধরণের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে পাটজাত পণ্য খাতকে বর্ষপণ্য ২০২৩ ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে এ খাতের রপ্তানি সমস্যা ও সম্ভাবনাময় আলোকে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এছাড়া বাংলাদেশের রপ্তানি খাত সম্প্রসারণের জন্য সেবা খাতকে (ইনফরমেশন ও কমিউনিকেশন টেকনোলজি, কনসালটেশন সার্ভিস, কনস্ট্রাকশন, পর্যটন ইত্যাদি) গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে; দেশের রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রমঘণ শিল্প স্থাপনকে উৎসাহিতকরণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:- জনগণের মাথাপিছু আয় ২৭৬৫ ডলার

তিনি বলেন, রপ্তানিকারকদেরকে উৎসাহ প্রদানের জন্য জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৮-১৯ প্রদান করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে পিটিএ/এফটিএ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে; রপ্তানিকারকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের জন্য তাদেরকে নিয়ে সেমিনার/কর্মশালার আয়োজন অব্যাহত রাখা হইয়াছে এবং পণ্য ও বাজার বহুমুখিকরণ। সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, সরকার রপ্তানিকারকদের কাঁচামাল সংগ্রহের জন্য এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (ইডিএফ) এর পরিমাণ ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা হয়েছে; দেশীয় পণ্যের বৈচিত্র আনয়ণ এবং গুণগত মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে নির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে দ্বিতীয় বারের মত ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩ আয়োজন করা হয়েছে।