জাহাজ থেকে সরাসরি পাইপলাইনে তেল খালাস, নতুন যুগে বাংলাদেশ

তেল খালাস
  © সংগৃহীত

বহু প্রতীক্ষার পর গভীর সমুদ্রে বড় জাহাজ থেকে সরাসরি পাইপলাইনে তেল খালাস শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (৩ জুলাই) সকালে কক্সবাজারের মহেশখালীতে এই কার্যক্রম শুরু হয়। এর মাধ্যমে জ্বালানি তেল খালাসে নতুন যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লোকমান।

মো. লোকমান বলেন, মাতারবাড়ীর গভীর সমুদ্রবন্দরে নোঙর করা জাহাজ এমভি হোরাই থেকে আজ সকাল সোয়া ১০টায় পাইপলাইনে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস শুরু হয়েছে। প্রথম জাহাজটি খালাস হতে সময় লাগবে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা। এই জাহাজটি তেল আছে ৮২ হাজার টন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে ৮২ হাজার মেট্রিকটন ক্রুড অয়েল দেশে আসে। কিন্তু সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় এসপিএম লাইনে তেল খালাস প্রকল্পের কমিশনিং শুরু করা যায়নি। তবে গতকাল রোববার খালাসের অপেক্ষায় থাকা জাহাজটি মাতারবাড়ী এসপিএম প্রকল্পের হোস পাইপে নোঙর করে। সব চেক করে আজ সোমবার সকাল সোয়া ১০টায় পাইপলাইনে তেল খালাস শুরু হয়। পরের দফায় পরিশোধিত তেলের জাহাজ পৌঁছলে দ্বিতীয় পাইপলাইনটিও কমিশনিং করা হবে।

ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড সূত্রে জানা যায়, বড় জাহাজ থেকে জ্বালানি তেল খালাসে ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এসপিএম প্রকল্প পরীক্ষামূলকভাবে ২৫ জুন শুরু হওয়ার কথা ছিল।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পাইপলাইনে গভীর সাগর থেকে ১ লাখ মেট্রিকটন তেলবাহী বড় জাহাজ থেকে তেল খালাসে সময় লাগবে মাত্র ২-৩ দিন। যেখানে আগে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তেল খালাসে সময় লাগত ১০-১২ দিন। পাইপলাইনে তেল খালাসের ফলে দেশে জ্বালানি তেল মজুতের সক্ষমতা বাড়বে ১০-১৫ দিন। সেই সঙ্গে তেল চুরি এবং সিস্টেম লসসহ নানা পরিবহন নৈরাজ্যও কমবে।