বাজারের হালচাল
কাঁচা মরিচের ঝালের মধ্যেই ঊর্ধ্বমুখী সবজির বাজার
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৩, ০২:৪৭ PM , আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৩, ০২:৪৭ PM

আমদানি বাড়ায় বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমলেও ঊর্ধ্বমুখী অন্যান্য সবজির দাম। কেজিতে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।
শুক্রবার (৭ জুলাই) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, আগানগর, কালীগঞ্জ ও পুরান ঢাকার শ্যামবাজারসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই অস্থির দেশের কাঁচা মরিচের বাজার। বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ২৫ জুন থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আমদানি অব্যাহত থাকলেও দেশের বাজারে ওঠানামা করছে এর দাম। তবে এক দিনের ব্যবধানে মানভেদে কেজিতে ৩০ থেকে ১০০ টাকা কমে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকায়। আর বৃহস্পতিবার কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছিল ৩৬০ থেকে ৪০০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। তবে আমদানি বন্ধ হলে বা সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিলে আবারও বাড়বে দাম।
তবে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে কাঁচা মরিচের দাম ওঠানামা করছেন বলে অভিযোগ ভোক্তাদের। তারা বলেন, দেশে আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবুও দাম বাড়ছে। এর পেছনে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কাজ করছে।
এদিকে বাজারে মরিচের ঝাল কিছুটা কমলেও ঊর্ধ্বমুখী অন্যান্য সবজির বাজার। মানভেদে প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।
সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতিকেজি পটোল ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কচুমুখী ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৪৫ টাকা, আলু ৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়েছে করলা ও টমেটোর। প্রতিকেজি করলা ১৫০ টাকা ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।
বিক্রেতারা জানান, বৃষ্টির কারণে ফসল নষ্ট হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। তা ছাড়া ঈদের ছুটির পর এখনও পুরোপুরি সচল হয়নি সরবরাহব্যবস্থা। এতে দাম কিছুটা চড়া।
এদিকে ক্রেতাদের দাবি, বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও শাকসবজির দাম চড়া, যা নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। শিগগিরই এটি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে, চরম বিপাকে পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে।
শাকসবজির বাজার ঊর্ধ্বমুখী হলেও স্বস্তির খবর মাংসের বাজারে। নতুন করে বাড়েনি মুরগি, গরু ও খাসির মাংসের দাম। বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা, সোনালি ২৬০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। আর গরু ও খাসির মাংস যথাক্রমে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা ও ১ হাজার টাকা কেজি।
বিক্রেতারা জানান, চাহিদা কম থাকায় ও সরবরাহ ঠিক থাকায় নতুন করে বাড়েনি ব্রয়লার মুরগিসহ অন্যান্য মাংসের দাম। তবে দাম বেড়েছে লাল ডিমের। বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ থেকে ১৫০ টাকায়। আর সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়।
এদিকে দু-তিন দিনের ব্যবধানে বাজারে সব আদার দামই নিম্নমুখী। কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে ভিয়েতনাম, বার্মা ও ভারতীয় আদা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৫০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলেন, আমদানি বাড়ায় দাম কমতির দিকে। এ ছাড়া আদা কাঁচামাল হওয়ায় মজুত করা সম্ভব নয়। এখানে সিন্ডিকেটের কোনো সুযোগ নেই।