ভোজ্যতেলের দাম সরকার কমালেও আগের বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে বাজারে

তেল
  © ফাইল ফটো

ভোজ্যতেলের দাম ৮ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কোথাও নতুন দাম এখনও কার্যকর হয়নি। আগের বেশি দরেই বিক্রি হচ্ছে তেল। তবে কি শুধুই কাগজে কলমে কমলো ভোজ্যতেলের দাম?

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোম্পানিগুলো আগেই প্রচুর তেল দিয়ে রেখেছে। সেগুলো বিক্রি শেষ হওয়ার আগে নতুন তেল নিলে আগেরগুলো কেউ কিনবে না। এ কারণে কোম্পানির ডিলাররা নতুন দরের তেল সরবরাহ করেননি। 

তবে কোম্পানিগুলোর দাবি, আজ থেকেই তারা মিলগেটে নতুন দর কার্যকর করেছে। কিন্তু ভোক্তা পর্যায়ে কম দামের তেল পৌঁছাতে চার-পাঁচ দিন লাগতে পারে।

মঙ্গলবার ভোজ্যতেলের দাম কমানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা কমিয়ে ১৭৯ টাকা এবং খোলা সয়াবিনের লিটারে ৮ টাকা কমিয়ে ১৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতদিন এ দুই ধরনের তেলের দাম ছিল যথাক্রমে ১৮৯ এবং ১৬৭ টাকা। একই সঙ্গে পাঁচ লিটারের বোতলে ৪৩ টাকা কমিয়ে ৮৭৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া খোলা পাম অয়েলের লিটার ৫ টাকা কমিয়ে ১২৮ এবং বোতলজাত পাম অয়েলের লিটার ১২ টাকা কমিয়ে ১৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

বুধবার কারওয়ান বাজার থেকে ১৮৭ টাকা দরে দুই লিটার তেল কিনেছেন জাকির হোসেন। তিনি বলেন, খবরে দেখছি তেলের দাম কমছে; কিন্তু বাজারে এসে কিনলাম আগের দামে। দাম কমানোর ঘোষণা কাগজে-কলমে হয়, বাস্তবে তো দেখি না। এটা মানুষের সঙ্গে এক ধরনের ভাঁওতাবাজি। 

নতুন কম দরের তেল পেতে কতদিন লাগতে পারে– জানতে চাইলে হাতিরপুলের একজন ব্যবসায়ী বলেন, অন্তত এক সপ্তাহের আগে নতুন কম দরের তেল পাওয়া যাবে না। কোম্পানিগুলো সব সময় দাম বাড়ানোর আগে বাজারে তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে, দাম কমানোর আগে প্রচুর তেল সরবরাহ করে। ফলে দাম কমালেও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে আগের তেল থেকে যায়। সেগুলো বিক্রি শেষ না হলে নতুন তেল নেওয়া যায় না। এ কারণে ভোক্তাদের দাম কমার সুফল পেতে সময় লেগে যায়।