চট্টগ্রামে কমলো সব ধরণের মুরগির দাম
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৩, ০২:৪১ PM , আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৩, ০৪:১৬ PM

চট্টগ্রামে ব্রয়লার মুরগির দাম কমে খুচরা বাজারে কেজি ১৫০-১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মূলত সরবরাহ বাড়া এবং সেই তুলনায় চাহিদা কমে যাওয়ায় এই মুরগির দাম কমেছে।
গত রমজানের সময় সব ধরনের মুরগির দাম রেকর্ড ছুঁয়ে যায়। তখন খুচরায় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল কেজি ২৬০ টাকা।
আর গত কোরবানি ঈদের আগে এই ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল কেজি ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায়। সে হিসাবে দাম কমেছে কেজিতে ৪০ টাকা।
ব্রয়লার বা সাদা মুরগির পাশাপাশি সোনালি মুরগি এবং দেশি মুরগির দামও আগের তুলনায় কমেছে। কিন্তু ক্রেতার নাগালের মধ্যে আসেনি।
গতকাল সোনালি মুরগি খুচরা বাজারে কেজি ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোরবানি ঈদের আগে বিক্রি হয়েছিল কেজি ৪১০ টাকায়। সে হিসাবে দাম কমেছে কেজিতে ১১০ টাকা। অবশ্য হালিশহরের ফইল্যাতলী বাজারে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে সবচেয়ে কমদামে কেজি ২৬০ টাকায়।
গতকাল বুধবার (১৯ জুলাই) বাজারে দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কোরবানি ঈদের আগে এই মুরগির দাম ছিল কেজি ৬৩০ টাকায়। সে হিসাবে দাম কমেছে কেজিতে ১৩০ টাকায়।
চট্টগ্রামের অন্য যেকোনো খুচরা বাজারের তুলনায় কাজির দেউড়ি খুচরা বাজারে যেকোনো পণ্যের দাম একটু বেশিই। সেখানেও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকায়। আর হালিশহরের ফইল্যাতলী বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৫৫ টাকায়।
দাম কমার কারণ জানতে চাইলে খুচরা বিক্রেতারা বলেন, এখন মুরগির দাম কমেছে; ইদানীং বিয়ে-শাদি অনুষ্ঠান বেশি হচ্ছে। সেটি না হলে দাম আরো কমত।
বিগত রমজান শুরুর আগে হঠাৎ করে মুরগির দাম নাগালের বাইরে চলে যায় এবং রেকর্ড ছুঁয়ে যায়। দাম বাড়ার প্রতিযোগিতার একপর্যায়ে বাধ্য হয়েই সরকারের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজারে হস্তক্ষেপ করে।
ভোক্তা অধিকারের গোয়েন্দা তথ্যে ওঠে আসে, মুরগি উৎপাদনকারী শিল্পগ্রুপগুলোর কারসাজির কারণেই বাজারে দাম চড়ে যায়। পরে মুরগি উৎপাদনকারী দেশের চারটি বড় শিল্পগ্রুপকে ডেকে পাঠায় ভোক্তা অধিকার। অধিদপ্তর জানতে চায় ১৩০ টাকা উৎপাদন খরচের মুরগি কেমনে বাজারে ২৭০ টাকায় বিক্রি হয়। এরপর চার শিল্পগ্রুপ মালিকদের উপস্থিতিতেই তাদের খামার থেকেই কেজি ১৯০ টাকায় মুরগি বিক্রির সিদ্ধান্ত দেয় অধিদপ্তর।
এরপর থেকেই বাজারে দাম কমতে শুরু করে ব্রয়লার মুরগির। কিছুদিন কম থাকলেও পরে আবারও বেড়ে যায় মুরগির দাম। গত এক সপ্তাহ ধরে মুরগির দাম কমে আসায় ভোক্তাদের স্বস্তি এসেছে।