আন্তর্জাতিক বাজারে দর কমলো চিনির

চিনি
  © ফাইল ফটো

আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দর কমেছে। বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদক ব্রাজিলে উৎপাদন বেড়েছে। বিশ্ববাজারে সরবরাহও বাড়িয়েছে দেশটি। মূলত এতেই খাদ্যপণ্যটির মূল্য হ্রাস পেয়েছে। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নাসডাকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। 

এতে বলা হয়, আলোচ্য কার্যদিবসে ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) আগামী অক্টোবরের অপরিশোধিত চিনির দাম কমেছে ১ দশমিক শূন্য শতাংশ। প্রতি পাউন্ডের দর স্থির হয়েছে ২৪ দশমিক ৪২ সেন্টে।

আরও পড়ুন: চাল রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ

তবে দৈনিক ভিত্তিতে কমলেও সাপ্তাহিক হিসাবে চিনি এখনও লাভের পথে রয়েছে। চলতি সপ্তাহে খাদ্যপণ্যটিতে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ মুনাফা  হতে পারে। এখন পর্যন্ত সেই পথেই রয়েছে। 

আগের কর্মদিবসে গত ২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চে উঠেছিল চিনির মূল্য। সেখান থেকে ভোগ্যপণ্যটির দরপতন ঘটলো।

একই দিনে সাদা চিনির আগামী অক্টোবরের সরবরাহ মূল্য নিম্নমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ। প্রতি মেট্রিক টনের দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ৬৮৬ ডলার ৫০ সেন্টে। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত ও থাইল্যান্ডে আখের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে কমতে পারে। এল নিনো আবহাওয়ার প্রভাবে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ উৎপাদক দেশ দুটিতে এ নিম্নমুখিতা সৃষ্টি হবে।

কিন্তু তারা বলছেন, চলতি বছর ব্রাজিলে শস্যটির বাম্পার ফলন হয়েছে। বিশ্ববাজারে সরবরাহ বাড়াচ্ছে দেশটি। এতে বৈশ্বিক মূল্য হ্রাস পেয়েছে।

ব্রাজিলের মধ্য-দক্ষিণ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি আখ উৎপাদন হয়। প্রতি মাসে দুইবার সেখানে উৎপাদনের উন্নতি ও অবনতি নিয়ে উপাত্ত প্রকাশ করে শিল্প গ্রুপ ইউনিকা। 

আগামী সপ্তাহেও চলমান জুলাইয়ের প্রথমার্ধের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করবে তারা। আপাতত সেদিকে নজর দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে চিনিতে বিনিয়োগ কমিয়েছেন তারা। খাদ্যপণ্যটির দর হারানোর অন্যতম কারণও এটি।