ইউরোপের বাজারে তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসা কমেছে ৪০ শতাংশ

তৈরি পোশাক
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত  © উইকিপিডিয়া

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে মোট পণ্য রফতানির ৮৬ শতাংশ এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এ মাসে রফতানি আয় হয়েছে ৩৯৫ কোটি ডলার, যা গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি। তবে চলিত বছরের জুলাইয়ে তৈরি পোশাক রফতানি আয় বাড়েনি।

এছাড়া, ইউরোপের বাজারে তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসা কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। এই ধারা অব্যাহত থাকলে সংকটে পড়বেন বলে শঙ্কা উদ্যোক্তাদের।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ইউরোপের বাজারের ক্ষেত্রে ৩২ থেকে ৪০ শতাংশ অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে। এই বছরটা এমন যাবে বলে আশঙ্কা করছি।

উদ্যোক্তারা বলছেন, পশ্চিমা দেশগুলোতে বিদ্যুৎ, খাবার, বাড়ি-ভাড়াসহ বেড়েছে সব ধরনের খরচ। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পোশাক খাতে। তবে চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কমছে অনেক দেশের। এতে নতুন সম্ভাবনা দেখছেন উদ্যোক্তারা।

কোভিড ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেও পোশাক খাতের বিশ্ববাজার ছোট হয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পশ্চিমা দেশগুলো হচ্ছে ব্যবসার অন্যতম জায়গা; যেখানে তাদের বিদ্যুৎ, খাবার, বাড়ি ভাড়াসহ সব ধরনের খরচ বেড়েছে। যার কারণে তাদের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্যিক দ্বন্দ্বের কারণে নতুন সম্ভবনা তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা। তাদের মতে, ইউরোপ-আমেরিকা বলয়ের অনেক দেশ চীন থেকে পোশাক পণ্য আনতে আগ্রহ হারাচ্ছে। এসব বাজার নিজেদের আয়ত্তে আনতে পারলে বাংলাদেশের পোশাক খাতে বাজার আরও বড় হবে। এজন্য জ্বালানি সংকট দূরের তাগিদ দিচ্ছেন ব্যবসায়ী নেতারা।