নতুন জাতের তরমুজ চাষে সফল মাধবপুরের কৃষক বদু মিয়া

হবিগঞ্জ
বদু মিয়ার খেতের নতুন জাতের তরমুজ  © টিবিএম ফটো

হবিগঞ্জের মাধবপুরের চৌমুহনীতে নতুন জাতের তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছে জাতীয় পুরুষ্কারপ্রাপ্ত কৃষক বদু মিয়া। বর্ষাকালে বাংলাদেশে তরমুজের চাষাবাদ না হলেও এবার অসময়ে বিদেশি জাতের এসব তরমুজ চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।

বাইরে হলুদ রংয়ের খোসা ও ভেতরে লাল (গোল্ডেন ক্রাউন) মানিয়া জাতের তরমুজ গুলোকে দেখে বাংগি ভেবে অনেকেই ভুল করেন। কার্নিয়া (বাংলালিংক) নামে পরিচিত তরমুজের বাইরের অংশ সবুজ কিন্তু ভেতরের অংশ হলুদ। আকারে দেশীয় জাতের তরমুজের চেয়ে কিছুটা ছোট কালো রংয়ের ব্ল্যাকবেরি তরমুজ দেখে সবাই অবাক হচ্ছে।

সরেজমিনে উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামে বদু মিয়ার খামারে গিয়ে দেখা যায়, ১০/১২ জন শ্রমিক নিয়ে বদু মিয়া জমিতে কাজ করছেন। অনেকেই নতুন জাতের এসব তরমুজ দেখতে এসে তার পরামর্শ নিচ্ছেন কীভাবে চাষাবাদ করতে হবে।

কৃষক বদু মিয়া জানান, প্রায় চার একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন তিনি। এরমধ্যে ৮০ শতাংশ জমিতে মানিয়া (গোল্ডেন ক্রাউন), ৮০ শতাংশ জমিতে কার্নিয়া (বাংলালিংক) ও বাকি অংশে বিভিন্ন জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। গাছ লাগানোর ৬০/৬৫ দিনের মধ্যেই তরমুজ বিক্রির উপযুক্ত হয়ে যায়। ফলে এক মৌসুমে তিনবার এই তরমুজ চাষ করা যায়। চার একর জমিতে চাষাবাদ করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় পাচ লক্ষ টাকা। ঢাকার কাওরানবাজারে নিয়ে বিক্রি করছেন এসব তরমুজ। দেশীয় জাতের তরমুজের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে তার তরমুজ। দশ থেকে বারো লাখ টাকার তরমুজ বিক্রির আশা করছেন তিনি। তার এ সাফল্য দেখে এলাকার অন্য কৃষকরাও আগ্রহী হয়ে উঠেছেন নতুন জাতের এসব তরমুজ চাষে।

মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, বর্ষাকালীন তরমুজ চাষে মাধবপুরে কৃষকদের মাঝে সারা জাগিয়েছেন বদু মিয়া। তিনি কৃষি বিভাগের একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। তার প্রেরণায় প্রতি বছরই জমি ও চাষীর সংখ্যা বাড়ছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই মাধবপুরের বর্ষাকালীন তরমুজ বিদেশে রপ্তানি করা যাবে।