১ মাসে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৭০ শতাংশ, তবে কেজিতে ৬০ টাকা কমেছে কাঁচামরিচ
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৩০ PM , আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৩০ PM

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, এক মাসের ব্যবধানে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম ৭০.৫৯% বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়। এক মাস আগে এ পেঁয়াজের দাম ছিল ৪০-৪৫ টাকা।
কয়েক সপ্তাহ ধরেই পেঁয়াজের দাম বাড়ছিলো। তার উপর অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে গত ১৯ আগস্ট ভারত পেঁয়াজের ওপর ৪০% রপ্তানি শুল্ক আরোপ করে। এরপরই দাম আরও বেশি বৃদ্ধি পায় বাংলাদেশে। আর আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশি পেঁয়াজের দামও বেড়ে গেছে।
এদিকে দাম বেড়ে যাওয়ায় ভারত ছাড়াও আরও ৯টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন যে দেশগুলো থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো—চীন, মিশর, পাকিস্তান, কাতার, তুরস্ক, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
অন্যদিকে এক মাসের ব্যবধানে আমদানিকৃত রসুনের দাম ৯.৫২% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০-২২০ টাকা থেকে বেড়ে প্রতি কেজি ২২০-২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক বছর আগে প্রতিকেজি আমদানিকৃত রসুনের দাম ছিল ১১০-১৩০ টাকা। আর দেশি রসুনের দাম এক মাসের ব্যবধানে ১৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৮০-২২০ টাকা কেজি থেকে দাম বেড়ে হয়েছে ২২০-২৪০ টাকা হয়েছে। এক বছর আগে দেশি রসুনের দাম ছিল ৬০-৮০ টাকা।
তবে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচের আমদানি বাড়ায় দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ বেড়েছে। এতে করে কেজিতে দাম কমেছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। দু’দিন আগেও বন্দরে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে প্রকারভেদে ১’শ থেকে ১১০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের দাম কমায় খুশি বন্দরে কিনতে আসা পাইকারসহ নিম্ন আয়ের মানুষজন।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে কাঁচামরিচের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আমদানির পরিমান আগের তুলনায় বেড়েছে। মঙ্গলবার বন্দর দিয়ে ৪টি ট্রাকে ২৯ টন ৮৫ কেজি কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে।
বুধবার বন্দর দিয়ে ৩টি ট্রাকে ২৫ টন ২৪০ কেজি কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। এছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে ১৩টি ট্রাকে ১০৫ টন ২শ কেজি কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। বন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানির ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণ যেমন বেড়েছে তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন আয় বেড়েছে। এছাড়া কাঁচামরিচ যেহেতু একটি কাঁচাপণ্য গরম ও বৃষ্টিতে দ্রুত পঁচে নষ্ট হয়ে যায় তাই কাস্টমসের কার্যক্রম শেষে দ্রুত যেন আমদানিকারকরা খালাস নিতে পারেন সেজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে রেখেছে।
প্রসঙ্গত, দেশে কাঁচামরিচের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠলে গত ২৫ জুন কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এর ফলে দীর্ঘ ১০ মাস বন্ধের পর গত ২৬ জুন ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়। হিলি স্থলবন্দরের কয়েকজন আমদানিকারক বেশ কয়েক হাজার টন কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। এরপর থেকে তারা নিয়মিতভাবে কাঁচামরিচ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন।