চট্টগ্রামে ‘তেল ও গ্যাস’ টার্মিনাল নির্মাণ করবে সরকার
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৩০ PM , আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৩০ PM

গ্যাস ও জ্বালানি তেলের আমদানি, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও স্টোরেজ ক্যাপাসিটি বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীন বে-টার্মিনাল এলাকায় "তেল ও গ্যাস টার্মিনাল" নির্মাণ করা হবে বলে জানান নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ টার্মিনাল দেশে আপদকালীন সময় জ্বালানি তেলের সংকট মোকাবেলায় গ্যাস ও জ্বালানির 'স্টোরেজ ক্যাপাসিটি' বৃদ্ধি এবং তরল জ্বালানি ও ভোজ্য তেল সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহ ব্যবস্থায় সহায়ক হবে, বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘তেল ও গ্যাস টার্মিনাল’ নির্মাণ সংক্রান্ত এক বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় ‘তেল ও গ্যাস টার্মিনাল’ স্থাপনের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ইস্ট কোস্ট গ্রুপের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
এই এমওইউ'র আলোকে বন্দরের বে-টার্মিনাল এলাকায় সংরক্ষিত জমি থেকে ‘তেল ও গ্যাস টার্মিনালের’ জন্য দুইশ একর জমিতে রেফ্রিজারেটেড এলপিজি টার্মিনাল, ল্যান্ড বেইজড এলপিজি টার্মিনাল, পেট্রোকেমিক্যাল প্রসেসিং টার্মিনাল, পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্ট স্টোরেজ টার্মিনাল, ভেজিটেবল অয়েল টার্মিনাল স্থাপনের জন্য কারিগরি সম্ভাব্যতা ও বাজার চাহিদা বিশ্লেষণ করে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে বেশি-বিদেশি বিনিয়োগসহ মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ‘তেল ও গ্যাস টার্মিনাল’ নির্মাণে পজিটিভ আছি। দেশের সার্বিক অর্থনীতির কথা চিন্তা করে দ্রুত এ টার্মিনাল নির্মাণ করা উচিৎ। এটি নির্মিত হলে অন্যান্য বন্দরগুলোও সুফল পাবে। তেল ও গ্যাস টার্মিনাল নির্মাণে দ্রুত কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, দেশে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেলেও গ্যাস ও জ্বালানি স্টোরেজ ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি পায়নি। কক্সবাজারের মহেষখালী এলাকায় স্টোরেজ স্থাপনের ফলে তেল ও গ্যাস মজুদের সক্ষমতা সামান্য বেড়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় স্টোরেজ ক্যাপাসিটি ১৯৫০ সালের পর তেমন একটা বৃদ্ধি পায়নি।