ভারত থেকে আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৫৮ PM , আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৫৮ PM

ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ভারত থেকে আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সিন্ডিকেটের কবল থেকে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে আপাতত ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ছয় প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে ডিম আমাদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চারটি প্রতিষ্ঠানকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স টাইগার ট্রেডিং, অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেড ও প্রাইম এনার্জি।
আরও পড়ুন:- আলু-পেঁয়াজ-ডিমের নির্ধারিত দাম মানছে না ব্যবসায়ীরা
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ সে সময় জানান, যে চারটি কোম্পানিকে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তারা হলো মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইমপোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লায়ার্স, টাইগার ট্রেডিং ও অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেড। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে মোট ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ঠিক কবে ডিম আমদানি হবে তা চার প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। তবে তাদেরকে বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব ডিম আমদানি করতে হবে। যেহেতু ঋণপত্র খুলে আমদানি করতে হবে, সে ক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
সচিব জানান, কোন দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে, সেটিও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। আমদানিকারক ঠিক করবেন কোন দেশ থেকে ডিম আমদানি করবেন। তবে আমদানি করা ডিমের দাম কী হবে, তা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্যসচিব বলেন, বাজারে যেহেতু ডিমের খুচরা মূল্য ১২ টাকা করে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, তাই আমদানি করা ডিমও প্রতিটি ১২ টাকার বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না।
আরও পড়ুন:- ভারতে ৩৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন
বাজার নিয়ন্ত্রণে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন বাজার নিয়ন্ত্রণে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন
ডিম আমদানি করার ক্ষেত্রে চারটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। এর প্রথমটি হলো, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু মুক্ত দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে।
এ ছাড়া নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না এবং সরকারের অন্যান্য বিধিবিধান প্রতিপালন করতে হবে। এমন দুটো শর্তের কথাও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বৈঠকে বলেছে, দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণে ডিম আমদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুরুতে সীমিত পর্যায়ে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে পরিস্থিতির স্বাভাবিক না হলে বিপুলসংখ্যক আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে বলে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান।