২০০ পোশাক কারখানা বন্ধ, উভয় সংকটে মালিক-শ্রমিক
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৩, ১১:০৩ AM , আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৩, ১১:০৩ AM

দেশের পোশাকশিল্পে ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকদের একাংশের চলমান আন্দোলনে মালিক-শ্রমিক উভয়ে এখন সংকটে। গাজীপুর ও সাভার-আশুলিয়ায় ভাঙচুরের ঘটনায় প্রায় ২০০টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এতে একদিকে মালিকরা যেমন রপ্তানি হারানোর শঙ্কায় আছেন, তেমনি শ্রমিকরা আছেন মজুরি হারানোর ভয়ে।
ইতোমধ্যে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ২২টি। যেখানে আসামি অন্তত ২০ হাজার। পোশাক শ্রমিকদের মজুরি ইস্যুতে গেল কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত গাজীপুর। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, সড়ক অবরোধ, গাড়ি ও কারখানায় ভাঙচুর চালায় শ্রমিকরা।
এসব ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২২টি মামলা করেছে। যেখানে আসামি অন্তত ২০ হাজার। এরপর থেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে দিন কাটছে পোশাক শ্রমিকদের। এক শ্রমিক বলেন, রাত ১টায় বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। কী কারণে ধরে নিয়ে যাচ্ছে তারা? এর জবাব কে দেবে?
আরেক শ্রমিক বলেন, যে মামলা করা হয়েছে, এটার কোনও যুক্তি নেই। অপর শ্রমিক বলেন, যারা মূল আসামি তারা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। যারা কিছু বুঝে না, তাদের ধরে নিয়ে এসে এভাবে রাখছে।
ফের অস্থিরতা বাড়তে পারে-এমন শঙ্কায় গাজীপুরে অর্ধশত পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, পোশাক শিল্প ধ্বংসে ষড়যন্ত্র লিপ্ত একটি মহল।
সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি বলেন, শ্রমিকপক্ষ, সরকারপক্ষ ও মালিকপক্ষ বসে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সঙ্গে ওটিসহ একজন সাধারণ শ্রমিক ১৭ হাজার টাকা পাবেন। তবু এই ঝামেলা হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য অশনিসংকেত।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে শিল্প পুলিশের ডিআইজি জাকির হোসেন খান জানান, কয়েকদিনে হামলা হয়েছে ১২৩টি কারখানায়। শ্রমিকদের উস্কে দিয়েছে যারা তাদের খোঁজ চলছে। তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ৮৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। মামলা হয়েছে ২২টির মতো। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
সাভারেও কয়েকটি এলাকায় শতাধিক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (১১ নভেম্বর) কাজে এসে শ্রমিকরা কারখানার গেটে বন্ধের নোটিশ দেখতে পান। তবে যেগুলো খোলা আছে সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, যারা কাজ করতে চাচ্ছে, তাদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে গেল ২৩ অক্টোবর সর্বনিম্ন মজুরি সাড়ে ১২ হাজার করা হয়। তবে তা প্রত্যাখ্যান করেন শ্রমিকরা।