বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজারে অস্বস্তির মধ্যে রপ্তানি নিয়ে দুঃসংবাদ দিলো ভারত

পেঁয়াজ
  © সংগৃহীত

পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করল ভারত। পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য ৮০০ ডলারে বেঁধে দেওয়ার দেড় মাস না পেরোতেই এ সিদ্ধান্ত নিল দেশটি। এই রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আজ শুক্রবার থেকেই কার্যকর হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজ দাম বর্তমানে অনেক বেশি। এই সংবাদের পর দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে গতকাল দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের (ডিজিএফটিআই) কার্যালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

ভারতের গণমাধ্যমগুলো বলছে, দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। রাজধানী নয়াদিল্লির বাজারগুলোতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ শুক্রবার ৭০ থেকে ৮০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে।

ডিজিএফটিআইয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পেঁয়াজের রপ্তানিনীতি ‘উন্মুক্ত’ থেকে সংশোধিত হয়ে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ‘নিষিদ্ধ’ থাকবে।

ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ অক্টোবর প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য ৮০০ ডলার নির্ধারণ করা হয়। প্রথমে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল। গতকাল তা সংশোধন করে নিষিদ্ধ করা হয়।

পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বাড়াল ভারত, দেশে কেজিতে বাড়ল ৪৫ টাকাপেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বাড়াল ভারত, দেশে কেজিতে বাড়ল ৪৫ টাকা দেশে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত আগস্টে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। তখন এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়, এমনকি তাঁরা ধর্মঘটও করেন। এর মধ্যেই ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

সরকারি তথ্যানুযায়ী, গত ২৯ নভেম্বর ভারতে পেঁয়াজের খুচরা বাজারে প্রতি কেজির দাম ছিল ৫৮ দশমিক ৮৫ রুপি। এক বছর আগে দাম ছিল ২৯ দশমিক ৭৬ রুপি। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৯৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ।