মিয়ানমার থেকে এলো ১২০ টন পেঁয়াজ; কেজিপ্রতি খরচ পড়েছে ১১০ টাকা
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৩০ PM , আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:১৮ PM

গত ৭ ডিসেম্বর ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়।ভারত রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পরই সারা দেশে হু হু করে বেড়ে যায় দাম। পরবর্তীতে, চীন ও পাকিস্তান থেকে আমদানি করা হয় ২২৬ টন পেঁয়াজ। মায়ানমার থেকেও পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। দীর্ঘ ৪২ দিন পর মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ এসেছে বাংলাদেশে।
আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জসিম উদ্দিন জানান, মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর দিয়ে দীর্ঘদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার পর আজ থেকে শুরু হয়েছে। ৪২ দিন এ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। আজ সকালে মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের মাধ্যমে ১২০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৮০ টন শুকনা সুপারি টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে। এসব পেঁয়াজ ট্রলার থেকে খালাস করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক জানান, মিয়ানমারে আরও ৬০০ টন পেঁয়াজ পড়ে রয়েছে। সে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পণ্য আমদানি সামগ্রিকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। মিয়ানমার থেকে আনা প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পড়েছে ১১০ টাকার মতো। ট্রলার, শ্রমিক ও পরিবহন খরচসহ আরও ১৫ টাকা যোগ করে এসব পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ১২৫ থেকে ১২৮ টাকায়।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সাথে চলমান সংঘর্ষের কারণেই রাখাইনের জেলা শহর মংডু ও আকিয়াব বন্দর থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্য আসা বন্ধ ছিল।