গাজীপুরে তীব্র গ্যাস সংকট, শিল্পকারখানার উৎপাদন ব্যাহত

গ্যাস
  © ফাইল ছবি

গাজীপুরে গ্যাস সংকটে শিল্পকারখানায় উৎপাদন নেমেছে অর্ধেকে। সময়মতো অর্ডার সরবরাহও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও মেশিন সচল রাখতে বেড়ে গেছে খরচ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, এভাবে চলতে থাকলে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া কঠিন হবে।

গাজীপুরের কোনাবাড়ী, জয়দেবপুর, কালিয়াকৈরসহ বেশকিছু এলাকায় গ্যাসের তীব্র সংকট। কিছুদিন ধরে লাইনে গ্যাসের চাপ কম থাকায় ব্যাহত হচ্ছে শিল্প কারখানায় উৎপাদন।

স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য ১৫ পাউন্ড-বল প্রতি বর্গ ইঞ্চি (পিএসআই) গ্যাসের চাপ প্রয়োজন। বর্তমানে অনেক কারখানায় সেটি নেমেছে দুই-তিনে। আবার কোনো কোনো কারখানায় তা নেমে এসেছ শূন্যতে।

গ্যাস সংকটে আর্থিক লোকসানের পাশাপাশি পণ্যের উৎপাদন অর্ধেকে নেমেছে। দিনের বেশিরভাগ সময়ই ডিজেলচালিত জেনারেটর ব্যবহারে চলে কার্যক্রম। অনেক সময় কারখানার ইউনিটও বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

কারখানাকর্মীরা বলছেন, যে কাপড় উৎপাদনে সময় লাগত ১২ ঘণ্টা, এখন সেখানে লাগছে ১৫ থেকে ১৬ ঘণ্টা। একদিনের প্রডাকশন আগে যেখানে ২৬ টন হত, এখন সাড়ে ১১ থেকে ১২ টনে দাঁড়িয়েছে।

কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, গ্যাস সংকটে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী উৎপাদন হচ্ছে না। শ্রমিকদের বেতন দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এম এম নিটওয়্যার লিমিটেডের ডিজিএম মনোয়ার হোসেন জানান, কাপড় সেলাইয়ের পর আমরা ভালোভাবে ফিনিশিংয়ের কাজ করতে পারছি না। সব খরচই হচ্ছে, কিন্তু কাপড় সেলাইয়ের লিড টাইম বেড়ে যাচ্ছে। উৎপাদন কমেছে প্রায় অর্ধেক।

গাজীপুরে পাঁচ হাজারের বেশি কলকারখানা রয়েছে। যার অধিকাংশই গ্যাস নির্ভর। আর এ খাতে কাজ করছে ২২ লাখ শ্রমিক।