হিলিতে আলুর কেজি ২৫ টাকা, ঢাকায় আসলেই দ্বিগুণ দামে বিক্রি
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:২৭ PM , আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:২৭ PM

অবশেষে কমতে শুরু করেছে আলুর দাম। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আলু উঠতে শুরু করায় এবং বাজারে সরবরাহ বাড়ায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কেজিতে অর্ধেকে নেমেছে দাম। শনিবার (২০ জানুয়ারি) স্থলবন্দরের এই বাজারে পাইকারিতে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে ২৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এতে খুশি হয়েছেন বন্দরে আলু কিনতে আসা পাইকারি ব্যবসায়ী ও নিম্নআয়ের মানুষজন। সামনের দিনে দাম আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তবে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এদিন ৪৫-৫০ টাকায় আলু বিক্রি হয়েছে। এ নিয়ে আড়তদারদের দুষছেন ক্রেতারা।
শনিবার বিকালে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব দোকানে আলুর পর্যাপ্ত সরবরাহ। সাদা ও লাল; দুই বর্ণের আলু দোকানগুলোতে দেখা গেছে। সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। গত সপ্তাহে লাল ও সাদা আলু ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। বর্তমানে পাইকারিতে ২৪-২৫ ও খুচরা বাজারে ২৬ টাকা।
চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গিয়েছিল বলে জানালেন হিলি বাজারের আলু বিক্রেতা । তিনি বলেন, ‘দাম বাড়তে বাড়তে ৬০-৭০ টাকায় উঠে গিয়েছিল। এ অবস্থায় সরকার আমদানির অনুমতি দেয়। এতে দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও ১৪ ডিসেম্বর থেকে রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এরপর আবারও বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। চলতি বছরের শুরুতে বাজারে নতুন আলু উঠতে শুরু করলে দাম কমতে থাকে। বর্তমানে দেশে আলুর মৌসুম। গত সপ্তাহেও ৪৫-৫০ টাকা বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু চলতি সপ্তাহে অনেক স্থানে আলু তোলায় এবং বাজারে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমে গেছে।’
স্থানীয় আলু ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের প্রায় সব অঞ্চলের কৃষক আলু তুলতে শুরু করেছন। এজন্য বাজারে দেশি আলুর সরবরাহ বেড়েছে। মোকামগুলোতেও দাম কমতে শুরু করেছে। আমরা কম দামে কিনতে পারায় কমে বিক্রি করছি। যতদিন সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে, দাম ২৫-৩০ টাকার মধ্যেই থাকবে। কাঁচামালের দাম মূলত সরবরাহের ওপর নির্ভর করে। যখন সরবরাহ বাড়বে তখন দাম কমবে। যখন সরবরাহ কমবে তখন দাম বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক।’
তবে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে আলু ও পেঁয়াজের দাম এখনও বেশি। শনিবার কাওরানবাজার ও মালিবাগে পাইকারিতে ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে আলু এবং ৮০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে আরও দুই-তিন টাকা বেশি দরে বিক্রি হয়েছে।
হিলির সব দোকানে আলুর পর্যাপ্ত সরবরাহ, সাদা ও লাল; দুই বর্ণের আলু দোকানগুলোতে দেখা গেছে।
দাম না কমার বিষয়ে কাওরানবাজারের আলু ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, ‘এখনও আড়তে দাম কমেনি। এজন্য আমরা কমাতে পারিনি। আড়তে দাম কমলে আমরাও কমাতে পারবো।’