হঠাৎ চালের গুদামে খাদ্যমন্ত্রী; অভিযান চালিয়ে দুই গুদাম সিলগালা
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৩২ PM , আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৩২ PM

ভরা মৌসুমেই বেড়েছে চালের দাম। এ নিয়ে সরকার কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেও কমেনি এই খাদ্যপণ্যের দাম। এবার চালের দাম বাড়ার কারণ খুঁজতে মিনিকেট চালের (সরু চাল) অন্যতম বৃহৎ মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে অভিযান চালিয়েছেন খোদ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি খাজনগর চালের মোকামে উপস্থিত হন।
এসময় একটি মিলের গুদামে প্রায় ৪০০ টন ধানের মজুত খুঁজে পান মন্ত্রী। সুবর্ণা অটো রাইস মিলের মালিক জিন্নাহ আলম অন্য একটি মিলের গুদামে অবৈধভাবে এ ধান মজুত করেছিলেন। মন্ত্রীর নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে গুদামটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। এছাড়া একই ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি আটা মিলের গুদামে ১৫০ টন গমের অবৈধ মজুত পেয়ে সেটিও সিলগালার নির্দেশ তিনি।
জানা যায়, মন্ত্রী পর্যায়ক্রমে খাজানগর মোকামের অন্যতম মিনিকেট চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দেশ এগ্রো ফুড, সুর্বণা এগ্রো, স্বর্ণা এগ্রো ফুড, আল্লার দান এগ্রো এবং রশিদ এগ্রো ফুড পরিদর্শনে যান। এসব চালকল ও এর গুদাম ঘুরে ঘুরে দেখেন। প্রায় প্রতিটি মিলেই কিছু না কিছু অসঙ্গতি খুঁজে পান তিনি। এর মধ্যে আল্লার দান এগ্রো ফুডের একটি গুদামে প্রায় ৪০০ টন ধানের মজুত দেখতে পান খাদ্যমন্ত্রী।
পরে জানা যায়, ওই ধানের মালিক সুর্বণা এগ্রো ফুডের স্বত্বাধিকারী জিন্নাহ আলম। পরে জিন্নাহ আলমের আটার মিলে প্রায় ১৫০ টন গমের মজুতও খুঁজে পান মন্ত্রী। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে গুদাম দুটি সিলগালা করার নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী এ সময় সংশ্লিষ্ট মিল মালিকদের ভর্ৎসনা করেন। পাশাপাশি কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাবুল হোসেনকেও ভর্ৎসনা করেন। তিনি খাদ্য নিয়ন্ত্রকে বলেন, ‘এসব অনিয়ম কেন এতদিন চোখে পড়েনি। সবকিছু যদি আমাকে দেখতে হয়, তাহলে তোমরা এখানে কী করো?'
এসময় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, অবৈধ মজুতসহ কেউ কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি করছেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অভিযানে মন্ত্রীর সঙ্গে খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজাসহ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা এবং চালকল মালিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।-তথ্যসূত্র: জাগো