১ কেন্দ্রেই বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ সরকারের কাছে পাওনা ১৭০০ কোটি টাকা

বাঁশখালী
  © সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে অবস্থিত কয়লাভিত্তিক ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের পূর্ণ উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে; কিন্তু এখন চাহিদা কম থাকায় চালু আছে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ইউনিট। তবে গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেলে দুটি ইউনিটই চালুর কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রটির কর্মকর্তারা। কর্মকর্তারা জানান, সরকারের চাহিদা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৮ লাখ টনের বেশি কয়লা ব্যবহৃত হয়েছে। এর বিপরীতে সরকারের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ কেন্দ্রটির বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে কমবেশি ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

ডলার সংকটের কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিল পরিশোধে সমস্যা হচ্ছে সরকারের। বর্তমানে এসএস পাওয়ার সরকারের কাছে কত টাকা পায় জানতে চাইলে কেন্দ্রটির চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) এবাদত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, কয়লা ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। নতুন করে আরও এক লাখ টন কয়লা এসেছে। তিনি বলেন, পাওনা টাকা সরকার অল্প অল্প করে পরিশোধ করছে। এখন সরকারের কাছে আমাদের পাওনা কমবেশি ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ অনুযায়ী কেন্দ্র চালায়। এক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ কম এমন বিদ্যুৎ কেন্দ্র আগে চালায়। এরপর চাহিদা বাড়ার সঙ্গে বেশি খরচে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানো হয়। একে লিস্ট কস্ট জেনারেশন বলা হয়। এস আলম গ্রুপের এই কেন্দ্রটি সরকারের সাশ্রয়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে। কেন্দ্রটির গড় বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ৮ দশমিক ২৫৯ ইউএস সেন্ট; যা চুক্তিকালীন (ইউএস ডলার ৭৮ টাকা) গড়ে ৬ দশমিক ৬০ টাকার মতো ছিল। তবে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া, কয়লা দাম ও পরিবহন খরচ মিলিয়ে এখন কেন্দ্রটির ইউনিটপ্রতি খরচ ১০ টাকার মতো পড়ছে।

এসএস পাওয়ারের পরিচালক এএসএম আলমগীর কবির জানান, আঞ্চলিক চাহিদার ভারসাম্য রক্ষায় ব্যয়বহুল ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালাতে হতো। এখন আর সেগুলোতে হচ্ছে না। এখন কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সব মিলিয়ে খরচ পড়ছে ১০-১২ টাকার মতো। আর ডিজেলে ২৫ টাকা এবং ফার্নেস অয়েলে ১৫ টাকা। ডিজেলের সঙ্গে তুলনা করলে প্রতি ইউনিটের খরচ কম পড়ছে ১৩ টাকার মতো।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ