আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম নিম্নমুখীর মধ্যে দেশে কেজিতে ২০ টাকা বাড়লো
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:১৮ PM , আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২০ PM

আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম নিম্নমুখী রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ইন্টারন্যাশনাল কন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) খাদ্যপণ্যটির দর সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। প্রতি পাউন্ডের মূল্য গত ১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে অবস্থান করছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বাণিজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নাসডাকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, আলোচ্য কার্যদিবসের মধ্যভাগে আইসিইতে আগামী মার্চের অপরিশোধিত চিনির দাম হালকা পরিবর্তন হয়েছে। প্রতি পাউন্ডের মূল্য স্থির হয়েছে ২২ দশমিক ৭৭ সেন্টে। কর্মদিবসের শুরুতে তা ছিল ২২ দশমিক ৪৭ সেন্ট। গত মধ্য-জানুয়ারির পর যা সবচেয়ে কম।
অপনদিকে, দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)। আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে। এতে বলা হয়েছে, প্রতি কেজি চিনির মিলগেট ও করপোরেট সুপাশপে বিক্রয় মূল্য ১৫৫ টাকা।
আর বিভিন্ন সুপার শপ ও বাজারে সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য হবে ১৬০ টাকা। এছাড়াও ৫০ কেজির বস্তাজাত চিনির মিলগেট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা। ডিলার পর্যায়ে বিক্রয় মূল্য ১৫৭ টাকা। এদিকে দাম বাড়নোর আগে সবশেষ প্রতি কেজি প্যাকেট চিনির দাম ১৪০ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংস্থাটি।
এদিকে বিশ্ব বাজারে আলোচিত দিনে সাদা চিনির দরেও সামান্য রদবদল ঘটেছে। প্রতি মেট্রিক টনের দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ৬২৫ ডলারে। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে ভোগ্যপণ্যটির মূল্য হ্রাস পেয়েছে ৫ ডলার। গত সপ্তাহে উভয় বেঞ্চমার্কের দরপতন ঘটেছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। চলতি সপ্তাহেও বড় দর হারানোর পথে রয়েছে চিনি।
বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদক ব্রাজিলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে আখের বৃদ্ধি ঘটেছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, আসন্ন মৌসুমে বাম্পার ফলন হবে। ফলে বিশ্ববাজারে সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ কমেছে। তাই চিনির দরপতন হয়েছে।
এছাড়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ উৎপাদনকারী ভারত আগামী দিনে সীমিত পরিমাণে চিনি রপ্তানির অনুমতি দিতে পারে। এ নিয়ে আলোচনা চলছে। যেটা এখন নিষিদ্ধ করে রেখেছে তারা। স্বাভাবিকভাবে দেশটি রপ্তানির অনুমোদন দিলে বৈশ্বিক বাজারে জোগান বৃদ্ধি পাবে। এ আশায় খাদ্যপণ্যটির দাম কমছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলতি সপ্তাহে ব্রাজিলের মধ্য-দক্ষিণ অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। সেখানে মূলত ব্যাপক আখ চাষ হয়। তাতে ফসলটির গ্রোথ ভালো হয়েছে। ফলে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে।