সরকার নির্ধারিত কম দামে মিলছে না সয়াবিন তেল

তেল
  © ফাইল ছবি

রাজধানীর বাজারগুলোতে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। সরকারের নির্ধারণ করে দেয়া দামে তেল না পাওয়ার অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। এদিকে নতুন তেল বাজারে না আসায়, আগের দরেই তেল বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

ব্যবৃৃসায়ীরা বলছেন, আমাদের কাছে এখনও নতুন তেল আসেনি। আগের মাল (তেল) থাকায় এখনও ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে তেল বিক্রি করা হচ্ছে। তারা বলছেন, সরকার ঘোষণা দিয়েছে ১ তারিখ থেকে সয়াবিন তেলের নতুন দর কার্যকর হবে। কিন্তু কোম্পানি বলছে, ৩ থেকে ৪ দিন লাগবে তেল আসতে। 

এক ক্রেতা বলেন, একদিন ১০ টাকা কমলে পরের দিনই দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এই তো অবস্থা। বাজারে স্থিতিশীলতা নেই। আরেক ক্রেতা বলেন, কখনো ৫০ টাকা বেশি দিয়ে ভোজ্যতেল কিনতে হয়। কিন্তু আমাদের আয় তো বাড়েনি। অথচ জিনিসপত্রের মূল্য বেড়ে গেছে।

তেল নিয়ে তেলেসমাতির ভেতরে পেঁয়াজ, চিনি, ডালসহ অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়তি। মাসের ব্যবধানে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে ডালের দর। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে রমজানের আরেক প্রয়োজনীয় পণ্য ছোলা। এক বিক্রেতা বলেন, মার্কেটে পেঁয়াজ নেই। আসলে আছে, কিন্তু ওরা ইচ্ছা করে দামটা বাড়িয়ে দিচ্ছে। কখনো পাইকারি ১১০ টাকা, আবার কখনো ১২০।

এর আগে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী, ১ মার্চ (শুক্রবার) থেকে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৬৩ টাকায় পাওয়ার কথা। কিন্তু (৩ মার্চ) তৃতীয় দিনেও কোথাও নতুন দামে সয়াবিন পাওয়া যায়নি। পরিবেশকেরা বলছেন, মিল থেকে নতুন দামের তেল সরবরাহ হয়নি। তবে মিলমালিকদের প্রতিনিধিরা বলছেন, নতুন দামের তেল ছাড়া হয়েছে, দোকানিরা মিথ্যা বলছেন।

শনিবার (২ মার্চ) বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, দু’এক দিনের মধ্যে বাজারে নতুন দামে তেল পাওয়া যাবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারত থেকে চলতি সপ্তাহেই ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনাসংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠক শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন, বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম ১০ টাকা কমানো হয়েছে। ১ মার্চ থেকে ১৬৩ টাকায় প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এবং ১৪৯ টাকায় খোলা সয়াবিন তেল কেনা যাবে।