যে কারণে ২৪ ঘণ্টায়ও নিভছে না চিনিকলের আগুন
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৪, ০৬:১৭ PM , আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৪, ০৬:২২ PM

এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের এক নম্বর গুদামে লাগা আগুন এখন জ্বলছে। ২৪ ঘণ্টা পরও নেভার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, এ আগুন সহজে নিভবে না। অনেক সময় লাগতে পারে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকালে ঢাকা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক (প্রশাসন অর্থ) জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আগুন লাগা গুদামটিতে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত চিনি মজুত ছিল। সেগুলো এক ধরনের দাহ্য পদার্থ। পানি দিয়ে এ আগুন নেভানো যাচ্ছে না। এ কারণে নেভাতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। তবে আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেটি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি, কখন নেভানো যাবে তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।’
তিনি জানান, বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে। গুদামটির চারপাশ থেকে পানি দেওয়া হচ্ছে। টিন খুলে ফেলা হচ্ছে।
এস আলম গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. হোসেন বলেন, ‘একই স্থানে আমাদের মোট ছয়টি গুদাম আছে। সোমবার ১ নম্বর গুদামে আগুন লাগে। এ গুদামটিতে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত চিনি ছিল। সবই পুড়ে গেছে। যার বাজার মূল্য হাজার কোটি টাকার বেশি। গুদামটিতে এখনও আগুন জ্বলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ছয়টি গুদামের মধ্যে চারটিতে অপরিশোধিত চিনি রাখা হয়। বাকি দুটিতে পরিশোধনের পর বিক্রি উপযোগী চিনি রাখা হয়। এক লাখ টন চিনি পুড়লেও এখনও দুটি গুদামে বিক্রি উপযোগী ২৫-৩০ হাজার মেট্রিক টন মজুত আছে। এ ছাড়াও বাকি তিনটি গুদামে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত চিনি মজুত আছে। আরও চিনি আমদানি পর্যায়ে আছে। সব মিলিয়ে চার লাখ মেট্রিক টনের মতো অপরিশোধিত চিনি আমাদের আছে।’
এস আলম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (এডমিন) আকতার হাসান বলেন, ‘আগুনে একটি চিনির গুদাম পুড়ে গেলেও আমাদের যে পরিমাণ চিনি মজুত আছে, তাতে দেশে চিনির কোনও সংকট হবে না।’
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রহমান বলেন, ‘আগুন লাগার কারণে দেশের বাজারে যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। আজও বাজারে দুই জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হচ্ছে।’
সোমবার (৪ মার্চ) বিকাল ৩টা ৫৩ মিনিটে নগরীর কর্ণফুলী থানাধীন মিজ্যারটেক ইছাপুর এলাকায় অবস্থিত ওই চিনিকলে এ আগুন লাগে।