রোজার আগেই অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার

বাজারে
  © সংগৃহীত

রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে বেগুনের দাম। সেইসঙ্গে দাম বেড়েছে লেবুর। দাম কমেছে পোল্ট্রি মুরগির ডিমের। এছাড়া অপরিবর্তীত রয়েছে চাল, তেল, ডাল ও মাছের বাজার।

মঙ্গলবার (০৬ মার্চ) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, চিকন বেগুন ৭০ টাকা এবং মাঝারি ও গোল বেগুন ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া টমেটো ৩০-৪০, গাজর ২৫-৩০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, করলা ১৩০-১৪০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১০-১৫ টাকা থেকে লাফিয়ে ২৫-৩০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪৮০-৫০০ টাকা, প্রতিপিস লাউ (আকারভেদে) ৫০-৬০ টাকা, ধনেপাতা ২০-৩০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালি দাম ২৫-৩০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৩০-৩৫ টাকা, শিম ৫০-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ১৪০ টাকা, পটল ১২০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিপিসের দাম ১৫-২০ টাকা, ফুলকপি ২৫-৩০ টাকা, দেশি রসুন ১৩০-১৪০ টাকা এবং সবধরনের শাকের আঁটির দাম ১৫ থেকে ২৫ টাকা।

খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকা। এছাড়া পোল্ট্রি মুরগির ডিমের হালি ৪০-৪২ টাকা।

বাজারে কার্ডিনাল আলু ৩০ টাকা, শিল আলু ৫০ টাকা, বগুড়ার সাদা পাকরি আলু ৪০ টাকা, গ্রানুলা ৩৫-৪০ টাকা এবং ঝাউ আলুর দাম বেড়ে ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে কাঁচামরিচ ৫০-৬০ টাকা এবং দেশি আদার কেজি ২২০-২৪০ টাকা।

বাজারের সবজি বিক্রেতা মামুন বলেন, সামনে রমজান। এ সময় বেগুনের চাহিদা বাড়ে। তবে সে তুলনায় আমদানি কম থাকলে দাম বাড়বে। এখন সেটাই বোঝা যাচ্ছে। রোজার আগেই দাম বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খোলা চিনি ১৪৫-১৫০ টাকা, প্যাকেট আটা আগের মতোই ৫৫-৬০ টাকা, খোলা আটা ৪৮-৫০ টাকা, ছোলাবুট ৯৫-১০০ টাকা, প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকা, মসুর ডাল (মাঝারি) ১২০ টাকা, চিকন ১৩৫-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৭০-১৮০ টাকা এবং বুটডাল ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগির দাম বেড়ে ৩১০-৩২০ টাকা, পাকিস্তানি হাইব্রিড ২৭০-২৮০ টাকা থেকে বেড়ে ২৯০-৩০০ টাকা, পাকিস্তানি লেয়ার ২৯০-৩০০ টাকা এবং দেশি ৪৮০-৫০০ টাকা থেকে বেড়ে ৫২০-৫৩০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে গরুর মাংস ৬৮০ থেকে ৭২০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুলাটোল আমতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আল আমির হোসেন বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম সামান্য কমলেও অন্য জাতের মুরগির দাম বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন আগের মতোই ১৭৩ টাকা এবং দুই লিটার ৩৪৬ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) চাল গত সপ্তাহের মতো ৫০ টাকা, পাইজাম ৫৫ টাকা, জিরাশাইল ৬০-৬২ টাকা, বিআর২৮ ৬৫ টাকা, মিনিকেট ৭২-৭৫ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাস ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 


মন্তব্য