অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার; সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লারের দাম বাড়লো ৩০ টাকা

দাম
  © বাংলাদেশ মোমেন্টস

রমজান শুরু হতে বাকি আছে মাত্র দিন কয়েক। এর আগেই অস্থির হয়ে উঠেছে নিত্যপণ্যের বাজার। নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে চিনি-সয়াবিন থেকে শুরু করে ছোলা-বেসন ও সব ধরনের ডালের দাম। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে অন্তত ৩০ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে প্রতিবছর রমজান উপলক্ষ্যে পণ্য ছাড়ের প্রতিযোগিতা চলে। অন্যদিকে প্রতিবছর রমজানে নিত্যপণ্যের বাজারের অস্থিরতা অঘোষিত নিয়ম। এবারও এর ব্যাতিক্রম হয়নি।

চিনি নিয়ে কাটেনি দুশ্চিন্তা। সরকারিভাবে পর্যাপ্ত মজুত থাকার কথা বলা হলেও কিনতে হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজিতে। ছোলা, ডাল ও বেসনের দামও বাড়তি। সয়াবিন মিলছে না বেধে দেয়া দামে।

রাজধানীল কারওয়ান বাজারে আসা এক ক্রেতা আক্ষেপ করে বলেন, ‘এই যে নিত্যপণ্যের দামের উর্ধ্বগতি, এতে আসলে জীবন চালিয়ে নেওয়া অনেক কঠিন হয়ে যায়।’ 

সংকট না থাকলেও লেবুতে হাত দেয়াই দায়। প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৮০ টাকায়।

লেবু কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, ‘রমজান সামনে। তারা (বিক্রেতা) দেখতেসে, যা চায় তাই পাবে। এজন্যই দাম বেশি। মনে করেন, ৫ জন আড়ৎদার আছে সবাই মিলে সিন্ডিকেট করে ফেলেছে।’ 

তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মুরগির বাজারে। ব্রয়লার ২০০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজিতে। সোনালি মুরগির কেজি ৩৬০। এজন্য বিক্রেতারা খামারিদের দূষলেও ভোক্তারা বলছেন সিন্ডিকেটের কথা।

এক বিক্রেতা বলেন, ‘এটা খামারওয়ালাদের ব্যাপার। তারা যেমন ইচ্ছা সেভাবেই করে।’ 

এক ক্রেতার আক্ষেপ, ‘২৩০ টাকা ব্রয়লার। আমি কাজ করে দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পাই। তাহলে আমি চলব কিভাবে?’

এক কেজি গরুর মাংসের জন্যও গুনতে হচ্ছে ৭৫০ টাকা। খাসির মাংস ১২০০। স্বস্তি নেই মাছেও। রুই ৩৫০, পাঙ্গাস– তেলাপিয়ার কেজি ২০০ টাকা। 

মাংস কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, ‘নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত, আমাদের মতো মানুষের জন্য এটা অনেক কষ্টের।’ 

এ অবস্থায় রোজা শুরুর আগেই বাজারে কার্যকর তদারকি শুরুর দাবি জানিয়েছেন ভোক্তারা।