রমজানে ইফতার সামগ্রীর হালচাল

রমজান
  © ফাইল ছবি

আজ দেশের আকাশে চাঁদ দেখা গিয়েছে। ফলে আগামীকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। তবে রমজানের আগেই দেশের বাজারে লাগামহীনভাবে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। এর পাশাপাশি বেড়েছে ইফতার সামগ্রির দামও। রমজানে আঙুর-আপেলের পরিবর্তে দেশি ফল বরই-পেয়ারা দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ দিয়ে সম্প্রতি সমালোচনার মুখে পড়েন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। কিন্তু বাজারে সেই দেশি ফলও সাধারণের নাগালের বাইরে।

মান ও এলাকাভেদে দেশীয় ফল বরইয়ের দাম ১০০ টাকা হতে ২৫০ টাকা, তেমনি পেয়ারার দাম ১০০ টাকা হতে ১৫০ টাকা। সপ্তাহ আগেও বরই ও পেয়ারার দাম ছিল ৫০-৬০ টাকা। বিলাসী পণ্য খেজুর মান ভেদে গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১০০টাকা থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত।

রমজানে তৃষ্ণা মেটানোর বড় একটা মাধ্যম থাকে শরবত। ইফতারে শরবত তৈরিতে ব্যবহৃত ইসবগুলের ভুসি, ট্যাং, রুহ-আফজার দাম বাড়ানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ইসবগুলের ভুসি দুই মাস আগে ১৬০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ২১০০-২৩০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি প্যাকেটজাত ট্যাং বিক্রি হয়েছে ৮৫০ টাকা, যা আগে ৮০০ টাকা ছিল। বড় সাইজের রুহ-আফজা বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫৫০ টাকা। যা আগে ৩৫০ টাকা ছিল। ছোট সাইজের রুহ-আফজা বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা। যা আগে ২০০ টাকা ছিল। দেশি লেবু হালি প্রতি ডজনভেদে বিক্রয় হচ্ছে ১৫০টাকা হতে ২৫০টাকা।

রমজান মাসে ফলের ফ্রেশ জুসের চাহিদা বেশি থাকে। তাই ফলের দামও আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। বিশেষ করে মাল্টা, কমলা, বেল, আনারস, বেদানার দাম বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি পিস বেল ৮০ থেকে ১২০ টাকা, বেদানা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, মাঝারি সাইজের আনারস ৬০ থেকে ৮০ টাকা, আমদানি করা কমলার কেজি ৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০টাকা হতে ১৫০টাকা। তরমুজ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এসব ফল দিয়ে ইফতারিতে জুস করে খান অনেকে। তাই অন্য ফলের পাশাপাশি শরবত আইটেম হিসেবে কাজে লাগা ফলগুলোর দাম বেড়েছে।’

রমজানে ইফতার সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় দিশাহারা সাধারণ ক্রেতারা। সরকারি উদ্যোগ নেওয়ার পরেও কমানো যাচ্ছে না এসব পণ্যের দাম। এজন্য ক্রেতারা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।