৪০ টাকা লেবুর হালি প্রথম রমজানেই স্থানভেদে ৮০ টাকা

লেবু
  © ফাইল ছবি

আজ থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। আর রমজানে ইফতারিতে শরবতের জন্য লেবুর চাহিদা থাকে বাড়তি। আর এই সুযোগটিই লুফে নেন ব্যবসায়ীরা। শরবতের দুই উপাদান চিনি ও লেবুর দাম এখন নাগালের বাইরে। প্রতি কেজি চিনি এখন ১৪৫ টাকা। সাইজ ভেদে কয়েকদিন আগেও লেবুর হালি বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকায়। অথচ আজ রমজান মাসের প্রথম দিনই দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা হালি। ফলে স্বল্প আয়ের অধিকাংশ মানুষকেই ইফতারির তালিকা থেকে শরবতকে বাইরে রাখতে হচ্ছে।

এদিকে শসা ও খিরা বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। সবধরনের সবজির দামও বেড়ে গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রমজান মাস শুরু না হতেই বাজারে অস্বাভাবিক উত্তাপ ছড়িয়েছে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম। লেবু, শসা, পেঁয়াজ, আলু, বেগুনসহ সেহরি ও ইফতার সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের দাম যেন আকাশছোঁয়া। রমজান শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই শসা এবং লেবুর দাম বাড়তে শুরু করে অস্বাভাবিকভাবে। এক হালি লেবুর দাম সাইজ ভেদে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

শরবত কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, রাস্তায় ঝাঁকা নিয়ে বসা লেবু বিক্রেতার কাছে দাম জানতে চাইলে বড় সাইজের লেবু ৮০ টাকা হালি চেয়েছেন, আর একটু ছোট সাইজটা ৬০ টাকা। মাত্র কয়েকদিন আগেও একই লেবু কিনেছি ৪০ টাকায়। 

এদিকে উৎপাদক পর্যায়ে ছয় থেকে সাত টাকায় লেবু বিক্রি হচ্ছে, আর এই লেবু ঢাকায় এসে ২০ টাকা হয় কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

তিনি বলেন, সামাজিক মাধ্যমে ট্রল হচ্ছে, আগে কী সাপ্লাই চেইন ছিল না? আমি কখনোই বলিনি, সাপ্লাই চেইন ছিল না, ভ্যালু চেইন ছিল না। এই ভ্যাল্যু চেইনের উপকরণগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এটাই ভ্যালু চেইন, সাপ্লাই চেইনে আরো উন্নত করার জায়গা। এটা কি পরিবহনের কারণে বাড়ছে, নাকি আরো কোনো বাধা বিপত্তি আছে? আর কোনো প্রতিবন্ধকতা আছে? আসার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলে এসেছি, পরিবহনের জায়গাটা যাতে স্বচ্ছ থাকে।

তিনি বলেন, লেবু একটি মৌসুমি পণ্য। কৃষিপণ্যগুলো মৌসুমি হয়। আপনাদের বলেছি, আমাদের কিছু মৌসুমি পণ্য আছে। কৃষি বিপণন অধিদফতর নিয়ে আমি আজও কথা বলেছি। কৃষিমন্ত্রী, কৃষি সচিব ও জনপ্রশাসনের সাথে আজও কথা বলেছি, যাতে তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।