বাজারে নিত্যপণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

নিত্যপণ্য
  © ফাইল ছবি

রমজানের আগে থেকেই বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। লাগামহীন এই নিত্যপণ্য নিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবাই মিলে বিষয়টি সমন্বয় করবে।

আজ রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর টিসিবি ভবনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর পণ্যের একটা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ অধিদপ্তরের নিজস্ব জেলা, উপজেলা এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কমিটি আছে। আমরা যেহেতু বাজার মনিটরিং করি আমরা সমন্বয় করে মনিটরিং শুরু করব। প্রাইস ডিসকভারিটা হুট করে হয় না। আমাদের দায়িত্ব হবে উৎপাদকপর্যায়ে থেকে পাইকারি এবং পরে খুচরাপর্যায় পর্যন্ত বাজার মনিটরিং করা।

পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সমন্বয়হীনতা নেই উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস আপনি যখন যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করবেন, সঙ্গে সঙ্গে এটি বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। আগে এটা নির্ধারণ করা জরুরি ছিল। অনেকদিন ধরে আইনটা ছিল কিন্তু করা হয়নি। আমরা এখন সমন্বিতভাবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিদপ্তর , ইউএনও, ডিসি সবাই মিলে সমন্বয় করব। আশা করি এটা একটা যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যেখানে যাচ্ছি বাজার কমিটিকে নিয়ে বসছি, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসছি, তাদেরকে এনকারেজ করছি। তাদের সমস্যার সমাধান করে এটা (সঠিক দামে পণ্য বিক্রি) আমরা বাস্তবায়ন করতেছি। আমরা কোনো জায়গায় কোনো দোকান বন্ধ করে দিচ্ছি না বা তালাবদ্ধ করে দিচ্ছি না। যারা একেবারেই আইন মানছেন না যেমন, পাইকারি থেকে খুচরাপর্যায়ে যখন বিক্রি করতে হবে তখন আপনাকে রিসিটটা রাখতে হবে। আপনি যখন পাইকারি চালান করবেন তখন আপনাকে রিসিট দিতে হবে। এই জিনিসগুলোকে বলে একেবারে মিনিমাম কমপ্লায়েন্স। এই জিনিসগুলো না করলে আমরা শাস্তির আওতায় আনছি।