কারণ ছাড়াই ট্রাকভাড়া দ্বিগুণ; বাড়তে পারে তরমুজের দাম

ভাড়া
  © ফাইল ছবি

দেশের বিভিন্ন সেক্টরে বেড়েছে অসাধুদের দৌরত্ম। এবার কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করেই তরমুজ পরিবহন করা ট্রাকের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। গত সপ্তাহে ২২-২৫ হাজার টাকায় প্রতিটি ট্রাক চলাচল করলেও এ সপ্তাহে নেওয়া হচ্ছে ৪৫-৫০ হাজার টাকা। এ অবস্থায় ট্রাকমালিকদের কাছ জিম্মি হয়ে পড়েছেন পটুয়াখালী জেলার তরমুজ চাষি ও ব্যাপারীরা। এতে আরেক দফা দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে তরমুজের।

সারাদেশে যে পরিমাণ তরমুজের চাহিদা রয়েছে তার বড় একটি অংশ পটুয়াখালীর কৃষকরা উৎপাদন করে থাকেন। এ বছর রমজানকে কেন্দ্র করে কৃষকরা তরমুজের আগাম আবাদ করেছেন। ফলনও হয়েছে ভালো। তবে এবার তরমুজ চাষিরা অনেকটাই জিম্মি ট্রাকমালিকদের কাছে। রমজানের শুরুর দিকে পটুয়াখালী থেকে ঢাকায় যে ট্রাক ভাড়া ছিল তার তুলনায় বর্তমানে দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এতে তরমুজের উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে পরিবহন বাবদ বড় একটি অংক যুক্ত হচ্ছে। ফলে তরমুজের দাম আরও বাড়ছে।

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এবার আমি ৮ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। ফলনও হয়েছে ভালো। কিন্তু হঠাৎ করেই কোনো কারণ ছাড়া ট্রাকভাড়া বাড়ানো হয়েছে। ১৫ মার্চ যে ট্রাকভাড়া ছিল ২৮ হাজার টাকা, তিন দিনের ব্যবধানে তা এখন ৪০ হাজার টাকা হয়েছে। আমার প্রশ্ন, কীভাবে তিন দিনের ব্যবধানে ১২ হাজার টাকা ভাড়া বেড়ে যায়?’

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম বলেন, বিষয়টি আমরা খোঁজ নিচ্ছি। কৃষকদের কাছ থেকে যাতে বেশি ভাড়া আদায় করা না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এক ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক বলেন, ‘সব জিনিসপত্রের দাম বেশি, তেলের দাম বেশি। ট্রিপ দিয়ে এলে দুই তিন হাজার টাকার বেশি থাকে না। ট্রাকচালকরা এতো কম রেটে গাড়ি চালাইতে চায় না। সেজন্য ভাড়া বাড়ছে। আর এখন তো ট্রাকই পাই না। যে যেভাবে পারছে চুক্তি করে মাল নিচ্ছে।’

উল্লেখ্য, জেলায় সবচেয়ে বেশি তরমুজ উৎপাদন হয় কলাপাড়া, গলাচিপা এবং রাঙ্গাবালী উপজেলায়। বিগত বছরগুলোতে তরমুজ পরিবহনে নৌপথ ব্যবহার করলেও পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এসব এলাকার কৃষকরা সড়কপথেই বেশিরভাগ তরমুজ পরিবহন করছেন।


মন্তব্য