সরকার নির্ধারিত দামেরও কমে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ 

পেঁয়াজ
  © ফাইল ছবি

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে পাবনায় মণ প্রতি দাম কমেছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। মাত্র একদিনের ব্যবধানে পাইকারি হাঁটে পেঁয়াজের দাম কমায় হতাশ চাষিরা। ব্যবসায়ী ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে পাবনা সদর উপজেলার হাজিরহাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে এক হাজার থেকে এক হাজার ১০০ টাকায়। যা গতকাল সোমবার একই উপজেলার পুষ্পপাড়া হাঁটে প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে এক হাজার পাঁচশ থেকে এক হাজার ছয়শ টাকায়। আর খুচরা বাজারে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে ২ এপ্রিল পা্ইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ২৯টি কৃষি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সেখানে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৬৫ টাকা ৪০ পয়সা দাম ধরা হয়।

শুধু ঢাকার বাইরে নয়, রাজধানীতেও হুহু করে দাম কমেছে। এতে করে ত্রেুতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। রাজধানীর পেঁয়াজের অন্যতম বড় দুই আড়ত শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে এখন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা কেজি। এছাড়া খুচরা বাজারেও ৬০ টাকার মধ্যেই পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। 
 
পাবনার হাজির হাঁটে পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসা কৃষক আরিফুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহ আগেও এই হাঁটে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ১ হাজার ৬০০ টাকা মণ। আর আজকে এসে দেখতিছি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা মণ।

আরেক কৃষক সদর উপজেলার মালঞ্চি এলাকার জাহের আলী বলেন, ‘১ হাজার টাকা মণ দরে পিঁয়াজ বিক্রি করলে কিছুই লাভ থাকবে না। খরচই পড়ে দেড় হাজার টাকার ওপরে। তিনি আরও বলেন, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ আনার আর টাইম পাইল না।’

পাইকারি ব্যবসায়ী বকুল বলেন, ‘আমাদের কি করার আছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। বাজারে পেঁয়াজ বেশি। এ জন্য দাম কমে গেছে। আবার কখন দাম বাড়বে ঠিক নাই।’