বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম

বিদ্যুৎ
  © ফাইল ছবি

বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাড়লো জ্বালানি তেলের দাম। প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনে বেড়েছে এক টাকা। পেট্রল ও অকটেনের দাম বেড়েছে লিটারে দুই টাকা ৫০ পয়সা। জ্বালানি তেলের নতুন দাম মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা থেকে কার্যকর হচ্ছে। 

এদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের ট্যারিফ পুনঃনির্ধারণ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে বিদ্যুৎ ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণিতে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ১ মে থেকে এ মূল্য কার্যকর হবে। 

মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গ্যাস খাতে ভর্তুকি সীমিত রাখার লক্ষ্যে, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এর ধারা ৩৪ক তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, জনস্বার্থে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের বিক্রয়মূল্য বিদ্যুৎ শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বেড়ে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বেড়ে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে।

বাংলাদেশে গ্যাসের ব্যবহারকারীদের ৮টি গ্রাহক শ্রেণি রয়েছে। তার মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩৭ শতাংশ, শিল্পে ২৩ শতাংশ, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ১৮শতাংশ, গৃহস্থালিতে ১০ শতাংশ, সার উৎপাদনে ৭ শতাংশ, সিএনজিতে ৪ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে ১ শতাংশ গ্যাস ব্যবহৃত হয়।

প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ মূল্যের সঙ্গে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যের কারণে সরকারকে এ খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আর্থিক ক্ষতি বা ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ৬,৫৭০.৫৪ কোটি টাকা। কৃষি সেচ মৌসুম, রমজান মাস ও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদা আরও বেশি থাকে। শিল্প, গৃহস্থালি, সার উৎপাদন, সিএনজি, বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে মূল্য সমন্বয় অপরিবর্তিত রয়েছে। 


মন্তব্য