অস্থির কাঁচাবাজার; সপ্তাহান্তে বাড়লো পেঁয়াজ-মরিচের দাম

বাজার
  © ফাইল ছবি

বাজেটের পর থেকেই অস্থির কাঁচাবাজার। রাজধানীর খুচরা বাজারে একশত টাকা ছাড়িয়েছে পেঁয়াজের দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা বেড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। কাঁচা মরিচের ঝাঁঝও বেড়ে চলেছে। সপ্তাহের ঘুরতে না ঘুরতেই কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। রাজধানীর হাতিরপুল, নিউমার্কেট, কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

ক্রেতাদের অভিযোগ, দুই থেকে তিন দিন পর পরই দাম বাড়ছে পেঁয়াজের। ফলে অসহনীয় হয়ে উঠেছে জনজীবন। এ সময় বাজারে সরকারের নজরদারি বাড়ানোর কথা জানান তারা।

রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে বাজার করতে আসা মনোয়ার হোসেন নামের এক ক্রেতা জানান, নানান অজুহাতে দাম পণ্যের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। এতে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়ছেন।

তিনি আরও জানান, যারা কষ্ট করে চাষাবাদ করেন সেই কৃষকরা কিন্তু ন্যায্য মূল্য পায় না। মাঝখান থেকে ফুলে ফেঁপে উঠছে ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর নিউমার্কেটে বাজার করতে আসা অন্য এক ক্রেতা জানান, সব জিনিসের দাম বেশি। তবে নিত্যপণ্যের দাম বেশি হলে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বেশি অসুবিধা হয়। অনেক কষ্টে সংসার চালাতে হয়।

এদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে চার থেকে পাঁচ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। ফলে সরবরাহ কম ছিল। পরে আবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিলেও এর ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এতেই দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দামের সঙ্গে দেশি পেঁয়াজের দামও বাড়ে।

সবজির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বেগুনের কেজি ৮০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। করলা, কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। চড়া দামের জন্য বৃষ্টির অজুহাত দিচ্ছেন বিক্রেতারা।

তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, সুযোগ বুঝে বাড়তি মুনাফা করছেন ব্যবসায়ীরা। সরকারি অভিযানের পরও স্বস্তি নেই ডিমের দামে। প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। তা ছাড়া আলুর কেজি ৬০ টাকা। চড়া মাছ, মাংসের দামও।