বাংলাদেশকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা দেবে এডিবি
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১১ PM , আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১১ PM

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৪০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। রোববার সচিবালয়ে জাইকা, এডিবির প্রতিনিধি এবং অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসনের সঙ্গে তিনটি আলাদা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
আজ রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে এডিবি ও জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা-জাইকার প্রতিনিধি দল এবং ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের (ভারপ্রাপ্ত) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজ যারা এসেছিলেন তারা তিনজনই আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। আমরা সবার সঙ্গে আলাপ করেছি, এতদিন তাদের যে চলমান সহায়তাগুলো ছিল সেটা আরও জোরদার করতে বলেছি।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফান্ড দেওয়ার বিষয়ে তিনজনই (এডিবি ও জাইকার প্রতিনিধি এবং অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার) ইতিবাচক। এডিবির বাজেট সহায়তা আসবে। ডিসেম্বরের মধ্যে এডিবি ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে। আইএমএফ ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার দেবে। আমরা আরও ৩ বিলিয়ন ডলার চেয়েছি।
তিনি বলেন, জাইকা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। আমাদের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে তাদের অর্থায়ন রয়েছে। ভৌত অবকাঠামো ঋণগুলো আমরা কন্টিনিউ করতে বলেছি, সেটা ওরা কন্টিনিউ করবে। এ ছাড়া আরও দুটি বিষয়ে কথা বলেছি। এর মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং টেকনিক্যাল বিষয় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়াও আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। কারণ তারা যেসব সহায়তা করে সেটা সরাসরি প্রভাব ফেলে। ইউরোপ, কানাডা ও ইউকে ছাড়া অস্ট্রেলিয়া অনেক বড় দেশ। তারা যে সহযোগিতা করে, সেটা তহবিল হিসেবে করে। তারা আঞ্চলিক বাণিজ্য বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেছে তারা। আমরা বলেছি বাংলাদেশের আঞ্চলিক বাণিজ্য খুব সীমিত দেশের সঙ্গে। অস্ট্রেলিয়া যদি এখানে আসে আমরা আসিয়ানের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবো।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আঞ্চলিক বাণিজ্য বেশি প্রয়োজন। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ আছে। তারা এনার্জি, অ্যাগ্রিকালচার খাতে বিনিয়োগ করতে চায়।
বৈদেশিক ঋণের প্রবাহ কমে গেছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন বলেন, বৈদেশিক ঋণের প্রবাহ ঠিক ছিল। একেবারে কম আসেনি। কিন্তু এগুলোর ব্যবহার নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে।