বিশ্ব ব্যাংক ও এডিবি থেকে আড়াই বিলিয়ন ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ PM , আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ PM
ঢাকায় সফররত বিশ্ব ব্যাংক (ডব্লিউবি) এবং এশিয়ান ডেভলোপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) উচ্চ প্রতিনিধি দল ২ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রস্তাব করেছে। তার মধ্যে রয়েছে বিশ্ব ব্যাংকের পলিসি ভিত্তিক ঋণ (পিবিএল) ঋণ ১ বিলিয়ন ডলার এবং এডিবির ইনভেস্টমেন্ট ঋণ ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। তবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব দপ্তরের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের পক্ষ থেকে কোনও ঋণ প্রস্তাব করা হয়নি। আজ রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুশনে আরা শিখা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাত সংস্কারে তিন শর্তে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। তবে নীতি সহায়তার জন্য প্রথমে দেবে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার। ডিসেম্বরে এটি পাওয়া যাবে। আর ইনভেস্টমেন্ট লোন ও গ্যারান্টি ফ্যাসিলিটি হিসেবে আরও ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্ব ব্যাংক। এডিবি ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে প্রথমে অর্ধ বিলিয়ন এবং পরে দুই ধাপে আরও অর্ধ বিলিয়ন ডলার করে দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু, যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব দপ্তরের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত পৃথক বৈঠকে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এই ঋণ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর প্রতিনিধি দলকে দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশিলতা রক্ষায় সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহিত নানা ধরনের পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন। আর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি প্রণয়ন, টাকার সরবরাহ হ্রাস, সুদের হার দফায় দফায় বৃদ্ধির মাধ্যমে বাজার ভিত্তিক করা এবং ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যয়ন এবং ক্রলিং পদ্ধতিতে ডলারের দর নির্ধারণের বিষয়গুলো জানানো হয়েছে।
অপর একটি সূত্র জানায়, রিজার্ভ সংরক্ষণে বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুসরণ, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে (আইএমএফ) ব্যয়যোগে রিজার্ভের (এনআইআর) তথ্য প্রদানের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংক খাতের সংস্কার, সময়সিমা বেধে দিয়ে খেলাপি আদায়ের মাধ্যমে কারল্য ঘাটতি দূরীকরণ, পরিদর্শনের মাধ্যমে অনিয়ম উদ্ঘাটন, এবং আর্থিক খাতের সুশাসন নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে প্রণীত রূপরেখার বিষয়ে তুলে ধরেন গভর্নর।