১২ হাজার ভরি সোনা চুরির আসল কাহিনী

সমবায় ব্যাংকের সোনা আত্মসাৎ হয় ২০২০ সালে

সমবায়
  © ফাইল ছবি

সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের হদিস মিলছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

আজ রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বোর্ডের ৫৭তম বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান তিনি।

জানা যায়, ২০২০ সালের মার্চ হতে জুন মাসের  মধ্যে ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন  আহমেদ  মহির আমলে বাংলাদেশ  সমবায় ব্যাংক লি: এর গ্রাহকদের প্রায় গ্রস ১২০০০ ভরি নীট ৭৩৯৮ ভরি ১১ আনা  স্বর্ণ / স্বর্ণালংকার ভূয়া গ্রাহক সাজিয়ে ফেরত দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে মর্মে দূদক এর  এজাহারে  উল্লেখ  রয়েছে। ওই সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদ্যমান আইনকানুন অনুসরণ না করে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে ২৩১৬ জন গ্রাহকের প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকার স্বর্ণ চুরি করেন তারা। এজন্য মহিউদ্দিন মহি ও অন্যান্য ৮ জন কর্মকর্তাকে বিবাদী করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি মামলা হয়। তবে ২০২২ সালের মার্চে ১ নম্বর আসামী মহিউদ্দিনের নাম বাদ দিয়ে বাকি ৮ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

সমবায় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট লিমিটেডের ১২ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে ১০ কোটি টাকা সুদ জমে। এর সাথে ব্যাংকে জামানত হিসেবে গ্রাহকের ১২ হাজার ভরি সোনা জমা রাখে কোম্পানিটি। তবে কোম্পানি দেউলিয়া হওয়ার পর এই সোনা নিতে কয়েকজন গ্রাহক আসে। কিন্তু এসব সোনা নামে বেনামে ভূয়া কাগজের ভিত্তিতে চুরি হয়ে যায় ব্যাংকের হেড অফিস মতিঝিল শাখা থেকে। এই কাজের সাথে যুক্ত থাকায় সমবায় ব্যাংকের ৮ জন কর্মকর্তাকে আসামি করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মামলা করে একই বছরের অক্টোবরে চার্জশিট দেয় দুদক।
  
উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, সমবায়ের সঙ্গে যারা আছেন তারা শুধু কমিটি আর দায়িত্বে আসা নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু সমবায়ের কল্যাণে কোনো কাজ হচ্ছে না। সমবায় দাঁড়াতে পারছে না এর মূল কারণ হচ্ছে সমবায়ীদের মধ্যে সমবায়ের মনমানসিকতার অভাব রয়েছে। সমবায়ীরা শুধু কমিটিতে ঢুকতে চায়।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের সম্পত্তি বেদখল হয়ে আছে। যারা একসময় ব্যাংকে ছিলেন, তারাই বেদখল করে বসে আছেন। জানতে পারলাম সমবায়ের ১২ হাজার ভরি সোনার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। 

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুনের সভাপতিত্বে এদিনের সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিপিআরসি চেয়ারম্যান ড. হোসেইন জিল্লুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. তোফায়েল আহমেদ, বার্ডের মহাপরিচালক সাইফ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।