বিশ্ববাজারে কমছে দ্রব্যমূল্য

বিশ্ববাজার
  © ফাইল ছবি

করোনা মহামারীর সময় বিশ্ববাজারে বেড়েছিল পণ্যের দাম। তবে করোনা পরবর্তী সময়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব। আগামী বছর আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম ৯ শতাংশ কমতে পারে, যা পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হবে। এর মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমাকে ধরা হচ্ছে। পণ্যমূল্যের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যশস্যের দাম হয় আরও চড়া, যার প্রভাবে দেশে দেশে বাড়তে থাকে খাদ্যপণ্যের দাম।

তবে, এবার দাম কমার পূর্বাভাস দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, ২০২৪ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক পণ্যমূল্য কমবে ১০ শতাংশের কাছাকাছি। ২০২৫ সালে খাদ্যের দাম কমতে পারে ৯ শতাংশ। আর জ্বালানির দাম ৬ শতাংশ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো খুব সহজে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী বছর বৈশ্বিক তেল সরবরাহ দৈনিক চাহিদার চেয়ে গড়ে ১ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল বেশি হবে। সরবরাহ বাড়ার কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে চীনের অর্থনীতির ধীরগতিকে। এসময় শিল্প উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে। আর এতেই চীনে তেলের চাহিদা স্থবির থাকবে।

গত বছর মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের কারণে তেলের দাম ওঠানামা করে। সংঘাত না বাড়লে ২০২৫ সালে অপরিশোধিত তেল প্রতি ব্যারেল ৭৩ ডলারে বিক্রি হতে পারে, যা চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। চলতি বছরে গড় তেলের দর ৮০ ডলারে স্থির আছে। 

তবে অর্থনীতিবিদেরা এটিও ধারণা করছেন যে, বিশ্বে সংঘাত বাড়লে জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এটি খাদ্য ও তেলের দাম বাড়াতে পারে।