রোজানির্ভর ১১ পণ্য আমদানিতে এলসি মার্জিন শিথিল
আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি সহজ করল বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোকে ভোগ্য পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখারও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আগে ১০০ শতাংশ মার্জিন বা জামানত মূল্য রাখার নির্দেশনা থাকলেও এখন সেই মার্জিন নির্ধারণ হবে গ্রাহক-ব্যাংক সম্পর্কের ভিত্তিতে।
গতকাল বুধবার এসংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ভোগ্য পণ্যের চাহিদা বাড়ার বিষয়টি বিবেচনায় ওই পণ্যগুলোর আমদানি সহজীকরণের মাধ্যমে মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখাসহ প্রয়োজনীয় সরবরাহ নিশ্চিত করতে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ডিম, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুরের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে সংরক্ষিতব্য নগদ মার্জিনের হার ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে উল্লিখিত পণ্যগুলোর সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমদানি ঋণপত্র স্থাপনে অগ্রাধিকার দিতে পরামর্শ দেওয়া হলো। এই নির্দেশনা ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, এলসি মার্জিন শিথিল করার কারণে আমদানিকারকদের নগদ টাকা কম লাগবে।
এতে আমদানি খরচও কম হবে। ফলে এই সুবিধার কারণে বাজারে এসব পণ্যের দাম কিছুটা হলেও কমার কথা।